করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯)


Created By : Dr H Kamaly
করোনাভাইরাস কি ?

cor 2

 

 

নাম করোনা ভাইরাস ডিজেজ ১৯ ( কোভিড-১৯ )  ,  যা জীব অথবা প্রকৃতির বিবর্তনে  হতে পারে , আমার ব্যাক্তিগত মতে  এটি সারস -কোভ – ২ এর  জিনগত পরিবর্তন (SARS-CoV-2 ) । অর্থাৎ ভাইরাসটির স্পাইক, এনভেলপ, মেমব্রেন এবং নিউক্লিওক্যাপসিডকে এনকোড করে প্রাণীর দেহে প্রয়োগের মাধ্যমে  রূপান্তরিত করা হয়েছে । কেননা ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করলে  আরএনএ তে পূর্বের সার্স ভাইরাসের অনেকটা মিল দেখা যায় বিধায়  মানুষের দ্বারা  সৃষ্টি করোনা ভাইরাস বললে তেমন  অপরাধের কিছু মনে করিনা  ।

( CDC –  The spike protein needs to bind to a receptor on human cells called angiotensin-converting enzyme 2 (ACE2). Research has shown that ACE2 allows SARS-CoV-2 to infect human cells. and this is part of the reason why SARS-CoV-2 binds 10 times more tightly to host cells than SARS-CoV. )

মুলত করোনা ভাইরাস ৭ টি হলেও মানুষের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে  তিন ধরনের  ভাইরাস । ( সার্স, মার্স ও কোভিড -১৯ ) এ ছাড়া  ভাইরাস গুলো  শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসকে তীব্র ভাবে আক্রমণ করে বিধায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ( COPID বা  Chronic Obstructive Pulmonary Disease ) ফুসফুস জনিত গ্রোফের অন্তর্ভুক্ত করেছেন । এর  বৈজ্ঞানিক নাম Orthocoronavirinae (অর্থোকরোনাভিরিনি) । কোভিড -১৯  প্রাণীর দেহ থেকে মানব দেহে প্রবেশ করে মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে এবং  পরবর্তীতে পৃথিবীর সর্বত্র চড়িয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি করিতেছে । তাও করটুকু সত্য কোভিড -১৯   এন্টি-ভ্যাক্সিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত শতভাগ নিশ্চিত করে বলা ও অসম্বভ ।

 করোনাভাইরাস কীভাবে মানব দেহে চড়ায়

cor 3

 

 

 

 

এই রোগ  সাধারণত ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় । বিশেষ করে সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট জলীয় কণা  (ড্রপ্লেট ) থেকে খুব বেশী বিস্তৃতি লাভ করে থাকে , করোনাভাইরাস  প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়িয়ে থাকে । যদি কোন কারণ হঠাৎ করে ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মত জ্বর দেখা দেয় অথবা আক্রান্ত স্থান থেকে বিগত ২ সপ্তাহের ভিতর ভ্রমণ করে আসেন বা অন্য কেউ এসে থাকে এবং তার ধারে কাছে গিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার হোম কোয়ারেন্টিন করা উচিৎ এবং সে সময়  জরুরী চলাফেরা করতে সর্বদা মুখে মাস্ক ও হাতে গ্ল্যাভস পরে নিত্য দিনের কর্ম ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ

( যেসব ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি কিন্তু তিনি কোভিড আক্রান্তের পাশে ছিলেন   অথবা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চল থেকে আগত এবং একই সাথে   করোনা জ্বরের মত হাল্কা বা  একাধিক উপসর্গ বিদ্যমান থাকে , মুলত তাদের কে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে  বিবেচনায় এনে বিশেষ ভবন বা নিজ বাসভবনে বন্দি করে রাখাকেই  সঙ্গনিরোধ বা কোয়ারেন্টিন বলে । নিয়ম অনুসারে ১৪ দিন সঙ্গনিরোধ থাকতে হয় )

 ড্রপ্লেট  বা জলীয় কণা কি  বা তা  তার আয়ু কতদিন 

cor 4-2

 

 

 

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সময় তার নাক ও মুখ দিয়ে যে জলীয় কণা বাতাসে বের হয় তাকেই ড্রপ্লেট বলে । সাধারণত এক বারের কাশি থেকেই বের হতে পারে এরকম ৩,০০০ ড্রপলেট। ক্ষুদ্র এই  ড্রপলেটের আকার ১ থেকে ৫ মাইক্রোমিটার (মানুষের চুলের ৩০ গুন চিকন)। ড্রপলেটের মধ্যে এই ভাইরাসটি তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে কোভ-২ ভাইরাস শক্ত জিনিসের ওপর ২৪ ঘণ্টা আর প্লাস্টিকের জিনিসের গায়ে দুই থেকে তিন দিনও বেঁচে থাকতে পারে। সাধারণত দরজার হাতল, প্লাস্টিক ও লেমিনেটেড ওয়ার্কটপ ও কঠিন বস্তুর ওপর দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। আর কপারের কোন জিনিসে পড়লে এর মৃত্যু হতে চার ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।

তখন  কোভিড আক্রান্ত রোগীর  হাঁচি বা কাশি থেকে  সৃষ্ট জলীয় কণা গিয়ে পড়তে পারে আরেকজনের গায়ে, কাপড়ে এবং আশেপাশের জিনিসের উপর অথবা আক্রান্ত ব্যাক্তির ২/৩ ফুট দূরত্বের ভিতরে থাকলে ও বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ ব্যাক্তি আক্রান্ত হওয়া সম্বভ । সে জন্য  ভাইরাসটি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ দিক  হচ্ছে সরাসরি হাত দিয়ে কিছু স্পর্শ না করা এবং নিদ্রিস্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলা ফেরা করা । অথবা কিছু স্পর্শ করলেও সাথে সাথে ডিটারজেন্ট যুক্ত সাবান দিয়ে সব সময় পরিষ্কার করা রাখা । ( বিশেষ করে  হাতের আঙ্গুল দিয়ে মুখ, কান, নাক -স্পর্শ না করা।) এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সময় চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীদের ও আক্রান্ত করতে পারে যদি উপযুক্ত পিপিআই দ্বারা আবৃত্ত না থাকেন —সে সময়   রোগীর ফুসফুস বা শ্বাসনালি থেকে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসে নিঃসরণের সময়  ভাইরাসের কণাগুলো বাতাসে ভেসে একাধিক চিকিৎসাকর্মী ও আশেপাশের সবাইকেই  সংক্রমিত করতে পারে যদি  সাবধানতা অবলম্বন না করা হয় ।

অর্থাৎ এই  ড্রপ্লেট  যেখানেই পড়বে সেখান থেকেই  মানুষের শরীরে লেগে গিয়ে ( বিশেষ করে চুখ , কান ও নাক  থেকেই ) ভাইরাসটি ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অঞ্চলে আক্রমণ করে উপরের শ্বাসানালী ও ট্রাকিয়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে যা মূলত  স্পাইকের মতো একটি প্রোটিন ব্যবহার করে শ্বসনযন্ত্রের কোষে থাকা অ্যাঙ্গিওটেনসিন-কনভারটিং এনজাইম ২ (এসিই-২)-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেটিতে প্রবেশ করে এবং এরমধ্যেই বংশ বিস্তার করে সংক্রমণ ছড়ায়।অতঃপর ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ ফুসফুস কে আক্রমণ করে ফুসফুসের অক্সিজেন ধরে রাখার ক্ষ্যামতা কে ধ্বংস করে দেয় (এয়াল্ভিওসিস ) করোনাভাইরাস রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকে থাকায়  হিমোগ্লোবিনে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা বা বাধার সৃষ্টি করে  আর এ কারনেই  শ্বাসকষ্ট হয় এবং কারও কারও বেলায় রক্তের প্লাজমা শুকিয়ে  রক্তের শ্বেত ক্ষণিকাকে  দ্রুত বৃদ্ধি করতে থাকে , তখন আক্রান্ত রোগীকে  ক্রমাগত  উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দিয়ে  রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলার ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হয় । এ ছাড়া  যাদের থ্যালাসেমিয়া (যা একধরনের রক্তের সমস্যা) রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন পরিবর্তিত হওয়ার কারণে করোনাভাইরাস হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না এবং  সেজন্য সে ধরনের রোগীকে বাঁচাতে  কৃত্রিম  শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাবস্থা গ্রহণ করে রক্তে  অক্সিজেন ঠিকমত সরবরাহ করতে হয় বা তা করলে  রোগীর প্রাণ নাশের আশক্ষা থাকেনা – অবশ্য সব কিছুর পর নির্ভর করে রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষ্যামতার উপর এবং সেই সাথে পুরাতন ফুসফুস জাতীয় অসুখ বিসুখের উপর ।

 কিভাবে বুঝবেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না

cor 5

 

 

 

 

সে জন্য সেরলজি টেস্ট পজেটিভ  ও  RTPCR (রিয়েল টাইম পলিমিরেজ চেন রিঅ্যাকশন ) এর  নমুনা  পরীক্ষা করে নিশ্চিত  হতে হবে  অসুখটি করোনাভাইরাস জনিত কিনা ? দুর্ভাগ্যক্রমে পজেটিভ হলে সাথে সাথে প্রত্যেক নাগরিকের  পবিত্র দায়িত্ব মনে করে রোগীকে  হোম আইসেলেশনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করে চিকিৎসার ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে । ( আইসেলেশন হচ্ছে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের কে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ পৃথকভাবে কোনো হাসপাতাল , স্থাস্থ্যকেন্দ্রের বা বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করার ব্যাবস্থা

  লক্ষণ পূর্ণ বিবরণ (  পরিবেষ ও আবহাওয়াগত কারনে  লক্ষণ পরিবর্তনশীল  )

cor 6

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রথমত করোনাভাইরাস জাতীয়  অসুখ দেখা দিলে ও আপনি সেপসিসে  আক্রান্ত কিনা তা দেখতে  হবে  কেননা সেপসিসের উপসর্গ  সমূহ সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফ্লু’য়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেন না, তিনি করোনাভাইরাস, নাকি রাইনোভাইরাস (rhinovirus)  না সেপসিসে  আক্রান্ত হয়েছেন। (which include influenza A and influenza B viruses) । পরীক্ষার ফলাফল যদি করোনা নেগেটিভ হয় এবং  ফ্লুভাইরাসের  কারণে প্রায় ই সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার হিস্ট্রি থাকে তাহলে ফ্লু ভ্যাক্সিন দিয়ে দেওয়া ভাল ।  যারা পুরাতন ফুসফুস জনিত  অসুখে প্রায় আক্রান্ত হয়ে  থাকেন তাদের বেলায় পূর্ণ চিকিৎসা ও বাড়তি সতকতার সহিত চলাফেরা করা সহ বাহিরে যেতে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্ল্যাবস পরে দৈনিক কাজ কর্ম করা উচিৎ ।

( সেপসিস  বলতে বুজায় – অন্য জাতের  ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত কিনা  যেমন নিউমোনিয়া, ক্ষত সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ  অথবা ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ অন্যান্য মৌসুমি ভাইরাস;ইয়েলো ফিভার, ডেঙ্গু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদির দ্বারা আক্রান্ত কিনা  কেননা সেপসিসের লক্ষণ ও ঠিক করোনার মত , জ্বর, ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, হঠাৎ প্রচণ্ড অসুস্থবোধ হওয়া ইত্যাদি । শ্বে জন্য করোনা ভাইরাসে চিকিৎসার বেলায় তাও মাতায় রাখতে হবে  )

সাধারণত ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড  ২ থেকে  ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর স্থায়িত্ব ২৩ দিন পর্যন্ত দেখেছি । এ ছাড়া ক্ষেত্র বিশেষ  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় ৩০ শতাংশ কোন লক্ষণ  প্রকাশ করেই না বরং  ঘাতকের মত  নীরবে আশেপাশের সর্বত্র  দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করে থাকে  ।

কোভিড-১৯ এর প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর ও শরীরের মাংসপেশিতে হাল্কা থেকে তীব্র ব্যাথা ( বাহুড় মাংশপেশি )  সহ নাক দিয়ে সর্দি পড়া, কাশি, গলার মধ্য ব্যাথা ইত্যাদি । তার পর দেখা দেয় শুকনো কাশি এবং বুকের স্টারন্যামের দুদিকের হাড়ের নিচে ব্যাথা ও গরম অনুভূতি বা ঝালা যন্ত্রণা সহ অন্যান্য লক্ষণ বিদ্যমান ,   ৩/৫ দিনের মধ্যেই  দেখা দিবে  শ্বাসকষ্ট সহ  মধ্যম থেকে  তীব্র আকারে নিউমোনিয়া ( এ সময় জ্বর থাকতে পারে আবার কারো বেলায় জ্বর নাও থাকতে পারে ) ইত্যাদি । যেমন …।

জ্বর: ৮৮%, শুকনো কাশি: ৬৮%, অবসাদ বা ক্লান্তি: ৩৮%, ফুসফুস থেকে থুতু বা ঘন কফ কাশি:৩৩%, শ্বাসকষ্ট: ৭০%, হাড় বা জয়েন্টে ব্যথা:২৬%,গলা ব্যথা:১৪% ,মাথাব্যথা: ১৫%, শীত শীত ভাব ২০% , বমিভাব বা বমি বমি ১০%, নাক দিয়ে পানি পড়া ৫% , ডায়রিয়া: ৪%, রক্ত ​​কাশি ১%, চোখ ফোলা :১০% ( একেকজনের বেলায় একেক রকমের লক্ষণ থাকতে পারে )

কোভিড-১৯  অসুখে ৮০% রোগী এমনিতেই ভাল হয়ে যান , সামান্য সর্দি, কাশি জ্বর ও প্রথম ডিগ্রীর নিউমোনিয়া  চাড়া  তেমন  মারাত্মক অসুখে ভুগতে দেখা যায়না বা সে জন্য  বিশেষ কোন চিকিৎসার দরকার হয়না  ,বিশেষ করে যাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষ্যামতা প্রবল ।  ১৪% বেলায় অসুখটি তীব্র ভাবে আক্রমণ করে যাদের মূলত একিউট রেপিরটরি ডিজেজ  সিন্ড্রোম  (ARDS) বিশেষ করে ক্রনিক ব্রঙ্কিয়েল এজমা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, ক্রনিক নিউমোনিয়া  , অনিয়মিত হার্টের অসুখ (arrhythmia) , কারডিওভাস্কুলার বা হার্ট এটাক  জাতীয় অসুখ , মাংসপেশির তীব্র ব্যাথা জাতীয় অসুখ ইত্যাদি তাদের বেলায় এবং সেখান থেকে ৬% কঠিন ভাবে আক্রান্ত হয়ে ৩% বেলায় মৃত্যু হতে পারে ।

রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি

cor 7

 

 

 

 

যেহেতু ভাইরাসটি  আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় (  গড়ে ৫ দিন ) তাই ৩য় দিন থেকেই ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পরে  এবং সে জন্য  পিসিআর পদ্ধতিতে মলিকুলার টেস্ট করিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপধ থাকতে পারেন । RTPCR ( রিয়েল টাইম পলিমিরেজ চেন রিঅ্যাকশন )  তা অনেক ভাবেই করা যায় । যেমন  –১ সোয়াব ট্যাস্ট  ঃ ( টিউবে তুলা জড়িয়ে রোগীর মুখ হাঁ করিয়ে গলা থেকে লালা সংগ্রহ করা হয় নমুনা সংগ্রহ করা  ) । ২ ন্যাজাল  অ্যাসপিরেট ঃ ( রোগীর নাকের মধ্যে স্যালাইন সলিউশন ঢুকিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা , বিশেষ করে যারা মারাত্মক সর্দিতে ভুগেন , তাদের ক্ষেত্রে ওই সর্দির নমুনা সংগ্রহ করা হয় । ৩ স্পুটাম ট্যাসট ( করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস থেকে যে মিউকাস নির্গত হয়, সেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাই স্পুটাম টেস্ট। ফুসফুসের মিউকাস বা স্লাস্মা কে স্পুটাম বলে ) । ৪ রক্তের  নমুনা  এবং  সেরোলজি ট্যাস্ট ( Serology ) ঃ SARS-CoV-2 virus এন্টিবডি পজেটিভ দেখাবে , এই পরীক্ষার মাধ্যমে IgM ও IgG অ্যান্টিবডির উপস্থিতি জানা যায়  মাত্র  ১৫ মিনিটে । । ৫ ট্র্যাকিয়াল অ্যাসপিরেট (শ্বাসনালী থেকে নমুনা সংগ্রহ করা ) । ইত্যাদি ।সবচেয়ে ভাল  মুখের লালা বা ফুসফুসের মিউকাসের  নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমেই ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয় করে ( RTPCR বা রিয়েল টাইম পলিমিরেজ চেন রিঅ্যাকশন ) ল্যাবরেটরিতে রক্ষিত কম্পিট্টারের জেনেটিক কপির সাথে  করোনা ভাইরাসের কোড মিলিয়ে যদি তা মিলে যায় তাহলে তা পজেটিভ ( করোনা ভাইরাসে উপস্থিতি )  ধরে নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া  ।  -এ ছাড়া বুকের সিটি স্ক্যানর মাধ্যমে ৯৬% ভাইরাসের উপস্থিতি খুব সহজেই ধরা সম্বভ, সে সময়  ফুসফুসের দু পাশের কয়েকটি অংশে কাচের মতো স্বচ্ছ সাদা অংশ দেখা যায়, যা চারদিকে (peripheral) অথবা পেছনে  সাদ ধোয়ার মত আবছায়ায় বিন্যস্ত থাকে।

 চিকিৎসা ও ব্যাবস্থাপনা

Sick at home with high fever

 

 

 

 

 

 বিঃদ্রঃ  অবশ্যই  আক্রান্ত রোগীকে অসুখটি  নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল, কেয়ার হোম  অথবা নিজের  ঘরে শত ভাগ নিশ্চিত করে  সকলের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা  বাধ্যতামূলক  ( আইসোলেশন)  ।

  প্রথম ধাপ (সাপোরটিভ ) 

cor 11

 

 

 

 

 

 

( ৮০% বেলায় দেখা যায়  –  সাপোরটিভ পর্যায় ) ৩০% বেলায়  অনেকেই জানেনা তিনি  নিজেই একজন করোনা পজেটিভ  রোগী  কেননা  ইহা  রোগীর ইমিউন সিস্টেমের উপর নির্ভর করে । অর্থাৎ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বেশী শক্তিশালী হলে বিশেষ করে যারা  পুরাতন ফুসফুস বা অন্যান্য ক্রনিক পর্যায়ের কোন অসুখ বিসুখ না থাকে  তাদের বেলায়  করোনাভাইরাসগুলো ইমিউন সিস্টেমের কাছে  যুদ্ধে হেরে গিয়ে ভাইরাসটি  এমনিতেই মারা যায়  আক্রমণের ৭- ১৩ দিনের ভিতর  ।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে তখন ৮০% আক্রান্ত মানুষ ঘরে বসেই ভালো হয়ে যায়, হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয় না বা সে জন্য সাধারণ সর্দি কাশির ঔষধ ( Paracetamol & Anti histamine Tablets )   সেবন করলেই হয় এবং সেই সাথে যথাযোগ্য পুষ্টি যোগ্য খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়  , যাতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম আর ও শক্তিশালি হয়ে শরীরটা এন্ট-করোনায় পরিণত হয় । পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জিঙ্ক ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বা ঔষধ বেশী করে সেবন করার কথা বলে থাকেন ।

 দ্বিতীয় ধাপ

cor 9

 

 

 

 

(সাপোরটিভ এবং কিউরেটিভ  সূত্র ঃ  সবাভাবতই করোনাভাইরাস শরীরের ইমিউন সিস্টেমের  কাছে  যুদ্ধে হেরে থাকে ৫-১৩  দিনের ভিতর যদি সেপসিস  জাতীয় অসুখ  বিশুখ না থাকে অর্থাৎ অন্যান্য গ্রোফের ব্যাক্টোরিয়া ও ভাইরাস করোনার  সাথে একত্রিত হয়ে আক্রমণ না করতে পারার দিকে বিশেষ খেয়াল সহ   করোনা  ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতি অপেক্ষা রোগীর  ইমিউন সেলের বংশবৃদ্ধির গতি বেশি করতে পারলেই  রোগীকে ঠিকিয়ে রাখা সম্বভ

লক্ষণ অনুসারে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের ২ – ৫ দিনের ভিতর হাল্কা ভাবে ফুসফুসকে আক্রমণ করে শ্বাস প্রশ্বাসের কিছুটা বাধার সৃষ্টি করে , তখন হাল্কা থেক তীব্র জ্বর কাশি সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় ( নিউমোনিয়ার মত ) । এমতাবস্থায়  বুঝে নিতে হবে ভাইরাসটিকে ধ্বংস হতে রোগীকে  কিছুটা কষ্ট করতে হবে বা  একটু জঠিলতার সৃষ্টি করবেই , তবে ভয়ের কিছু নেই যদি সাথে সাথে ভাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে সকল ব্যাবস্থা গ্রহণ  করেন ।

সে সময় অবশ্যই একটু ও অবহেলা না করে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে উন্নত এন্টিবায়োটিক এবং এন্টিভাইরাল ঔষধ সেবন সহ অসুখের  ধরন বুঝে সিম্পটম্যাটিক অন্যান্য ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে, আমার দেখা মতে দ্বিতীয় ধাপে ৯৭% রোগীই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন   ।  বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক অবস্থায়  যা যা করে থাকেন  …।( বিঃদ্রঃ   উপরের এন্টিবায়োটিক ও  এন্টি-ভাইরাল  ঔষধ সমূহ ভাইরাসের  বিরুদ্ধে কাজ না করলে ও করুনাভাইরাসের সাথে অন্যান্য গ্রোফের ভাইরাস, ব্যাক্টোরিয়া কে ধ্বংস করে । Chloroquine / Hydroxychloroquine  (antimalarial) ব্যবহার করে immuno – modulator হিসেবে সাইটোকিন (  cytokine )  রিলিজে বাধা প্রদান করে বিধায় কোভিড -১৯ চিকিৎসায় এফডিআর অনুমুতি দিয়েছে – মুলত কোভিড-১৯ এন্টি-ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত শতভাগ অসুখটি থেকে রেহাই পাওয়া কোনদিন ই সম্বভ নয় –

( নিচের ঔষধ সমূহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ  ছাড়া ব্যাবহার সম্পূর্ণ অবৈধ )

Azithromycin ঃ A

500 mg once daily for 3 days, alternatively initially 500 mg once daily for 1 day, then 250 mg once daily for 4 days. অথবা

Clarithromycin:  A ( 1)

Due to H nfluenzae: 500 mg orally every 12 hours for 7 to 14 days
-Due to H parainfluenzae: 500 mg orally every 12 hours for 7 days
-Due to M catarrhalis or S pneumoniae: 250 mg orally every 12 hours for 7 to 14 days

এবং এন্টিভাইরাল হিসাবে ,

TAMIFLU capsules : ( Oseltamivir ) B

The recommended oral dosage of TAMIFLU for treatment of influenza in adults and adolescents 13 years and older is 75 mg twice daily (one 75 mg capsule or 12.5 mL of oral suspension twice daily) for 5 days.

অথবা

ট্যাবলেট Chloroquine  ফসফেট ঃ (HCoV-OC43) Chloroquine phosphate 500 mg BID for 10 days.

(Hydroxychloroquine is also used as a treatment for rheumatoid arthritis, because it can help regulate the immune system. Chloroquine approved for emergency use by US FDA ) সাথে 500 mg once daily for 3 days, alternatively initially 500 mg once daily for 1 day, then 250 mg once daily for 4 days. বিশেষজ্ঞরা  কম্বাইন্ড থ্যারাপি  দিয়ে থাকেন ।

অথবা কিছু কিছু হাসপাতালে — COVID-19 Pneumonia  Chloroquine phosphate 500 mg BID for 5 days plus Darunavir 800 mg/Cobicistat 150 mg OD for 2 weeks অথবা Atazanavir 400 mg OD for 2 weeks plus Oseltamivir 150 mg BID for 5 days. রোগীকে সেবন করাইতেছেন ।

  ( Ref from Royal Glamorgan Hospital When I was self-isolated )

helal

 

 

 

 

 

( আমি যখন সংক্রামিত হই, তখন আমার জন্য  যে ধরনের চিকিৎসা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল তাই তুলে ধরলাম-  হয়তো কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের বেলায় একটু বাড়তি কাজে লাগবে  )

মধ্যম  বা সিরিয়াস পর্যায়ের করুনাভাইরাসে আক্রান্তদের বেলায় নিম্নলিখিত ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে শতভাগ আসা ভাল হওয়ার, তবে এখানে জেনে রাখা ভাল নিম্নের এন্টিবায়োটিক করোনাভাইরাসের বিরোধে কাজ না করলেও অন্যান্য ভাইরাস এবং ব্যাক্টোরিয়ার বিরুধে শতভাগ কার্যকরী । সে জন্য যখন করূনাভাইরাস ফুসফুসকে আক্রমণ করে তখন অন্যান্য ভাইরাস ও বয়ক্টোরিয়া এর  সাথে যুক্ত হতে চাইলে তা ধ্বংস বা প্রতিরোধ করে । ফলে  করোনাভাইরাস  একা শরীরের ইমোউনিটির সাথে যুদ্ধ করে বেশী দিন ঠিকে থাকতে পারেনা …। ট্যাবলেট ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রাঃ ১ টা করে দুইবার কমপক্ষে ৭ দিন ( অসুখ কমার লক্ষণ  ঔষধ সেবনের ২ নাম্বার দিন থেকেই বুজা যায় ), ক্যাপসুল ট্যামিফ্লু (TAMIFLU capsules ) ৭৫ মিগ্রাঃ দৈনিক ১টা করে ২বার ৫ দিন । সাথে শুকনা কাশি বাহির হওয়ার জন্য ভ্যান্টিলন ইয়ার স্প্রে ইনহেলার দৈনিক ৪ বার এবং জ্বর বেশী যে ৩ দিন ছিল সেই ৩ দিন প্যরাসিটামল দৈনিক ৩ বার সেবন করেছি  ( ভুলে ও শ্বে সময় এন্ট-ইনফ্লেমেটরি ঔষধ সেবন করবেন না , যেমন আইব্রোফেন বা এস্পিরিন ইত্যাদি ) । একই সাথে লবণ মিশ্রিত বাষ্প শ্বাস যখন শ্বাস নিতে কষ্ট হত তখন নিয়েছি  গড়ে দৈনিক ৫/৬ বার, শ্বাস প্রশ্বাস নিতে ভাল মনে করায় আমি লবণ মিশ্রিত বাষ্প শ্বাস ঘুমানুর সময় প্রায় ২১ দিন নিয়েছি এবং একই সাথে ১৪ দিন সামান্য ফ্রেশ আদাকে হাল্কা লবণ দিয়ে চিবুয়ে  রস পান করেছি কেননা আমার জানা মতে  আদার রস পান করলে  শ্বাস নালি ও খাদ্য নালির ভাইরাস কে অনেকটা ধ্বংস করে । ( কোন অবস্থায় আদাকে চিবুয়ে তার ছাল  খাবেনা না , কারন ছোট ছোট ছাল  অনেক সময় শুকনা কাশির সাথে শ্বাস নালিতে আটকে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে । এখানে জেনে রাখা ভাল কেউ কেউ বাষ্প শ্বাসে ম্যান্থার বা ট্রি অয়েল নেওয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু শুকনা কাশির বেলায় তা  ঠিক নয় কারন ম্যান্থার বা ভিক্স  কাশির ড্রপ্লেট কে ছোট ছোট  শ্বাস নালির ভিতর আটকে দেয়, আমার বেলায়  একবার দেওয়ার পর  শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়েছিল বিধায় আমি তা আর ব্যাবহার করিনি তবে এ সময় ভেষজ  ডাইলেটর সিরাপ *Phentholate Bronchila Blasm * সেবন করে বেশ উপকৃত হয়েছি ।

অবশ্য ঔষধ সেবনের  দুইদিনের মাথায় আমার বুকের ইনফেকশন ৬০% কমে গিয়েছিল কিন্তু তিন নাম্বার দিনে পেটের কামড় সহ ডিস্নট্রির মত পায়খানা হওয়ায় হাল্কা মাত্রায় আমি ম্যাট্রোনিডাজল ৪০০ মিগ্রাঃ করে দুবার সেবন করেছি মাত্র ২ দিন একই সাথে গলা ও পাকস্থলীতে জ্বালা পুড়া করায় অমিপ্রাজল সেবন করেছি দিনে ২ বার ( অবশ্য  করোনা ভাইরাসের বেলায় অমিপ্রাজল সেবন করতে হয় খাওয়ার  ১ ঘণ্টা আগে কোন অবস্থায় এন্টিবায়োটিকের সাথে সেবন করা করা উচিৎ নয়, কারন তা করলে  এন্টিবায়োটিক যথাযত কাজ করবেনা ) সকলের দোয়ায় আমি মধ্যম পর্যায়ে আক্রান্ত হয়েছিলাম বিধায় অসুখের ৫ নাম্বার দিন রাতে কয়েক মিনিটের  জন্য আমার অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল  বা প্রায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল কিন্তু মহান আল্লাহতালার কৃপায় পরে তা  আর প্রয়োজন হয়নি । এরপর ধীরে ধীরে বুকের চাপ কমলে ও মাঝে মধ্যে ফুসফুসের  নিচে, পিছনে বাহুড় দিকে শ্বাস নেওয়ার সময় কিছুটা  চাপ  ও খিঁচুনি বোধ  করেছি ( অর্থাৎ ইনফেকশন কমলে ও ইনফ্লেমেশন রয়ে গেছে ,  পুরাপুরি ভাল হইনি তবে মনে খুব সাহস ছিল  যকরোনা ভাইরাস  আমার শরীরের এন্টিবডি  ধ্বংস করবেই  এবং সত্যি তাই হয়েছিল ) ।  ৭ নাম্বার দিন থেকে পেটের সঙ্কোচন জাতীয়   ব্যাথা কমার পর  আমি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট ,  প্রতিদিন একটা করে সেবন করিতেছি – যাতে শরীর এন্টিবডি  দুর্বল না হয়    । ১২ নাম্বার রাতে  হঠাত  দেখলাম সারা শরীর দিয়ে  একটু গাম বের হচ্ছে বিশেষ করে বুকের চারপাশের ত্বকে ঘামের পরিমাণ একটু বেশী এবং তখন থেকেই বুকের ভিতর  ফুসফুসের মধ্যে যে চাপ  ও খিঁচুনি জাতীয় কিছুটা অসুবিধা ছিল তাও দুর হয়ে গেছে ( বুজতে পারলাম ফুসফুসের সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষনা  ও এল্ভিওলাই ঠিকমত অক্সিজেন পাইতেছে এবং সেখান থেকে করোনা ভাইরাস বিদায় নিয়েছে  ) অর্থাৎ আমি এই রোগ থেকে আশঙ্কা মুক্ত বলেই আমার কাছে মনে হল । একটা পরেই ভোর ৭ টায়  আমার কন্সাল্ট্যান্টের  (  Royal Glamorgan Hospital  )  সাথে  লাইভ ভিডিও কলে যোগাযোগ করে বিস্তারিত বললাম বা  ও  উনারা  আমার কথার উপর একই  অভিমত ব্যাক্ত করলেন । আমি এখন  এখন সম্পূর্ণ ভাল — > মনে রাখবেন কিন্তু ?  করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্ট মনে করলে অথবা কাশি আসতে সমস্যা মনে করলে  ভুলে ও  ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা খাবার খাবেন না অবশ্য আমি  তরল গরম পানিয় জাতীয় খাবার হিসাবে হাল্কা সূপ এবং চা পান করেছি একটু বেশী ।  চেষ্টা করুন সব সময় নিজের তৈরি করা খাবার একটু বেশী গরম করে খাওয়ার ।

পরবর্তীতে  পূর্ণ  আর এক সপ্তাহ ভাল পুস্টিগত ও উন্নত ভিটামিন যুক্ত খাবার সহ ট্যাবলেট ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রাঃ  প্রতিদিন ১ টা করে  আর এক সপ্তাহ সেবন করার পরামর্শ দিলেন যাতে এন্টিবায়োটিকের  রেসিস্ট্যান্স ক্যাপাসিটি নষ্ট না হয় এবং সাধারণ এন্টি ভাইরাল একটি ট্যাবলেট আর ও এক সপ্তাহ সেবন করার পরামর্শ দিলেন …। ১৭ নামার দিন RTPCR  নমুনা পরিক্ষাতে ও কোভিড-১৯ নেগেটিভ রেজাল্ট আসল ।।

             

 দ্বিতীয় ধাপে কখন জরুরী অবস্থায়  রোগীকে হাসপাতাল পাটানোর প্রয়োজন  ?

cor 12

 

 

 

 

শ্বাসকষ্ট হওয়া এবং অভিরাম বুকে ব্যথা বা চাপ সহ মানসিক বিভ্রান্তি এবং চুখ খুলতে অক্ষমতা দেখা দেওয়া । সে সময়  ঠোঁট ও মুখ  কাল-  নীলাভ বর্ণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্বব রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যাবস্থা গ্রহণ করতেই হবে এবং মূলত সে জন্য হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তরিত করতে হয় । মনে রাখবেন ,দ্বিতীয় ধাপের চিকিৎসা সবাক্ষনিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিজের ঘরে পূর্ণ আইসোলেশনে থেকেই করা সম্বভ হলে ও যদি কোন কারণে অসুখটি তৃতীয় ধাপে চলে যায় অথবা  শ্বাস প্রশ্বাসে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় তখন রোগীকে হাসপাতালে  স্থানান্তরিত করতেই হবে  । তবে একতা ও মনে রাখার দরকার  করোনা পজেটিভ শতভাগ নিশ্চিত হয়েই অন্যান্য করোনা আক্রান্ত রোগীর পাশে  নতুন রোগীকে স্থানান্তরিত করা  উচিৎ !   নতুবা উক্ত রোগী করোনা আক্রান্ত না হলে  ও সেপসিসের কারনে নতুন রোগী আক্রান্তের তৃতীয় ধাপে চলে যাবে এবং  তখন  ঐ রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্বভ । সত্য কথা বলতে কি ! মূলত সে কারনেই  অনেক সাধারণ রোগীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে  হাসপাতালে যেতে  খুব বেশী পায় ।

 অর্থাৎ অসুখটি তৃতীয় ধাপে চলে গেল  ( কিউরেটিভ )

cpr 13

 

 

 

 

 

তখন করোনাভাইরাস মারাত্মক ভাবে ফুসফুসকে আক্রমণ করতে দেখা যায় , সিটি স্কেন করলে তাথে  উভয় ফুসফুসের উপড়ে কাল গ্যাসর মত আস্তরের  আবরণ  সহ ফুসফুসের ভিতরে কাল রক্ত যুক্ত গভীর খাদের  সৃষ্টি করে হার্টের সঞ্চালনকৃত রক্তকে  জমাট করে ফেলে যা মূলত অক্সিজেনর অভাবেই হয়ে থাকে । তখন রোগীকে সবোচ্চ সতকতার সহিত অক্সিজেন সাপ্লাই সহ আইভি স্যালাইনে ইনজেকশনের মাধ্যমে সকল ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে । তাই দুর্ভাগ্যক্রমে বলতেই হয় অসুখটি তৃতীয় ধাপে চলে গেলে ৫০% আশা থাকে বেঁচে থাকার । অবশ্য সর্বশেষ তথ্যনুসারে দেখা যায় যদি সে সময় রোগীর ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অন্য একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি সুস্থ হওয়ার পর তার রক্ত  থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে গুরুতর অবস্থার রোগীর রক্তে প্রতিস্থাপন করা হয় তাহলে পরবর্তী ৮ ঘণ্টার ভিতরে উক্ত রোগী ৯০% আশা করা যায় সুস্থ হওয়ার । তবে এ  ধরনের প্লাজমা প্রতিস্থাপন খুবি ব্যায়বহুল বিধায় গরিব রোগীদের বেলায় শেষ মেশ ভেন্টিলেশন পদ্ধতির  ( কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস ) উপর নিভর করা ছাড়া আপাদত অন্য কোন রাস্থা নেই। অর্থাৎ অসুখটি চতুর্থ ধাপে চলে গেলে মাত্র ১০% আশা থাকে রোগী সুস্থ হওয়ার । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর কাউকে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হতে এখন ও দেখা যায়নি বা কতদিন পর আবার আক্রান্ত হতে পারেন তাও এখন পর্যন্ত কেউ জানেননা —সে কারনে এই মুহূর্তে কাউকে রিস্ক ফ্রি সার্টিফিকেট দেওয়া সম্বভ নয় ।   ।

ব্যাক্তিগত ভাবে প্রতিরুধ এবং নিরাপধ থাকবেন কিভাবে

cor 15

 

 

 

 

 

দুর্ভাগ্যক্রমে যখন ভাইরাসকে কোন ভাবে থামানো  না যায় তখন উক্ত অঞ্চল বা দেশ কে লকডাউন  করে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত রাখতে হয়  ( অবরুদ্ধকরণ বা লকডাউন হচ্ছে  সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা সমগ্র দেশের ওপর লোকেদের বাসগৃহ থেকে বের  না হওয়া, পরিবহন ব্যবহার না  করা, কর্মস্থলে না যাওয়া , জনসমাগম হয় এমন স্থলে না  যাওয়া, অত্যাবশ্যক নয় এমন সব কাজ না  করা ইত্যাদির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা )

  এ ছাড়া ব্যাক্তিগতভাবে নিজকে বাঁচাতে যা যা করতে হবে

চর ১৬

 

 

 

 

 

নিদ্রিস্ট  দূরত্ব বজায় রেখে চলা ফেরা করা এবং  হাত দিয়ে কোন কিছু স্পর্শ করলে সাথে সাথে তা জীবাণু মুক্ত করার চেষ্টা করা   :  ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে করোনাভাইরাসবাহী জলীয় কণা বাতাসে ভেসে থাকে  এবং ঐ পরিধির মধ্যে অবস্থিত অন্য যেকোনও ব্যক্তির দেহে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস সুস্থ শরীরে  প্রবেশ করতে পারে  বিধায় সে দূরত্ব বজায় রেখে চলা ফেরা করা এবং সব সময় চেষ্টা করুন , অতি-আবশ্যক প্রয়োজন না থাকলে ঘর থেকে বের না হওয়া , নিজের সর্দি কাশি বা  ফুসফুস জনিত অসুখ থাকলে মুখে ভাল মানের মাস্ক ব্যাবহার করা, নতুবা মাস্কের প্রয়োজন নেই  । এ ছাড়া  অন্য কার ও সংস্পর্শে  বা  যে কোন কিছুতে ভাইরাসটি লেগে থাকায়  ছোঁয়াচের  মাধ্যমে সেই  ভাইরাসটি সুস্থ শরীরে ঢোকতে পারে বিধায় প্রয়োজনে হাতে গ্লাভস পরতে পারেন অথবা তা না করলে  প্রতিনিয়তই হাত দিয়ে কোন কিছু  স্পর্শ  করার পর হাতকে ডিটারজেন্ট যুক্ত সাবান দিয়ে  পরিষ্কার রাখার চেস্ট করুন , সেই সাথে দীর্ঘ সময় বাহিরে অবস্থান করলে  ঘরে এসে হাত মুখ বা সারা শরীর কে ধৌত করা অথবা গোসল করাটাই উত্তম । ভাইরাসটি সামাজিক ভাবে সচারাচর বেশী চড়ায় – একজন আরেকজনের সাথে হ্যান্ড স্যেইক করা, মোবাইল ফোন , ক্রেডিট কার্ড মেশিন , কাগজের  টাকা হাতানো , বাজার  বা সুপার স্টোরের সেল্পে রাখা  জিনিস পত্রে হাত দিয়ে নারা   ইত্যাদি  , এমন কি  নিজ বাসগৃহের  বাহিরে যে কোন কিছুই নিজ হাত দিয়ে স্পর্শ করলে তা থেকে চলে আসতে পারে । জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ বাজার থেকে কিনে  না আনতে পারলে একচামচ ডিটারজেন্ট পাউডার এক আউন্স পানিতে মিশিয়ে অথবা ডিটারজেন্ট যুক্ত সাবান শরীরে লাগিয়ে ৩০ সেকেন্ড পরে তা ধোয়ে ফেলুন …তাও সমানভাবে কার্যকর

ধন্যবাদ ……।।Created by Dr H Kamaly

 

Reference Information Please bellow the link  :

https://www.ox.ac.uk/coronavirus/advice?wssl=1

https://coronavirus.jhu.edu/,

https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/index.html

https://www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019

Follow Research link  ( https://www.uptodate.com/contents/coronavirus-disease-2019-covid-19?source=history_widget

https://www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019/advice-for-public/myth-busters

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7102587/

মেডিসিন লাইন

For live education:

https://youtu.be/Xj1nUFFVK1E

https://www.youtube.com/watch?v=5DGwOJXSxqg

https://www.youtube.com/watch?v=D7W5759sOVA

https://radiologyassistant.nl/chest/lk-jg-1

https://www.youtube.com/watch?v=5DGwOJXSxqg&t=11s

 

Leave a comment