হেপাটাইটিস- বি-ভাইরাস ( যৌন রোগ পর্ব -৮ )HBV – STD 8


b-8

মেডিক্যাল হিষ্ট্রি ঃ

ইতিহাস অনুসারে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিসের আমলে মহামারী হিসেবে জন্ডিসের প্রমান পাওায়া যায় এবং পরবর্তীতে ড. সাউল ক্রুগম্যান ১৯৫০ সালে প্রথম এ ভাইরাসটি শনাক্ত করেন । তার দেয়া তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ড. ব্লুমবার্গ ১৯৬৩ সালে হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিন তৈরি করেন। বর্তমানে ড. ব্লুমবার্গ এর তৈরিকৃত ভ্যাক্সিন এর পরিবর্তে রিকমবিন্যান্ট ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়।
আমাদের দেশের শতকরা ৪ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বাহক। তাদের থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে অন্যান্য সুস্থ দেহে সংক্রামিত হলেও ৯০% বেলায় অবৈধ যৌনতার কারনেই ভাইরাসটি সংক্রামিত বেশী হয়ে থাকে । এশিয়ান দেশের গর্ভবর্তী মায়েরা গড়ে ৩.০৯% হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত । সারা বিশ্বে প্রতি বছর এইডস (AIDS) রোগে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেসি লোক মারা যায় হেপাটাইটিস-বি (HBV) ভাইরাস সংক্রামনে।

 

হেপাটাইটিস বি কি ?

b-17
হেপাটাইটিস বি একটি যৌন সংক্রামক রোগ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি দেখা দেয় যা যকৃতে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। রক্ত, বীর্য অথবা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। বড়দের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ ৫০% এমনিতেই ভালো হয়ে গেলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় ( ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ) । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে সিরাম হেপাটাইটিস ও বলা হয়ে থাকে । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসটি সুস্থ শরীরের প্রবেশ করার ১ থেকে ৪ মাসের ভিতর প্রকাশিত হয় ।

 

 

এ রোগের ২ টি অবস্থা আছে। একটি হল অ্যাকিউট বা স্বল্প মেয়াদী এবং অপরটি হল ক্রনিক বা দীর্ঘ মেয়াদী ।
অ্যাকিউট বা স্বল্পমেয়াদী ( Acute hepatitis B )

b-12
বি ভাইরাসে আক্রেন্ত হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের ( ৬ মাস ) মধ্যে ভাল হয়ে যায় । যার কারনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাদের শরীরের ইমিউনিটিস শক্তি প্রচুর থাকে তারা প্রথম অবস্থায় বিনা চিকিৎসাতেই সুস্থ হওয়ার কথা এবং এ সময় অ্যাকিউট হেপাটাইটিস বি এর জন্য তেমন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না । মনে রাখবেন সে সময় লিভারের জন্য ক্ষতি কারক ঔষধ , লিভারের জন্য ক্ষতিকারক ভেষজ খাবার ও মদ পান এবং ক্যামিকেল মিশ্রিত পিজি ড্রিঙ্ক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিৎ – ।

 

দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক হেপাটাইটিসঃ- ( chronic hepatitis B )

b-03
হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস সাধারণত ৬ মাস থেকে আজীবন স্থায়ী হতে পারে । যদি কোন কারনে দীর্ঘ দিন পর ও শরীরের ইমিউনিটি শক্তি নস্ট না করতে পারে তাহলে ৯০% বেলায় শেষ অবধি , যখন শরীরের ইমিউনিটি শক্তি দুর্বল হতে থাকে তখন দীর্ঘমেয়াদী হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার হওয়ার সবাভনা শতভাগ – অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যাক্তির বার্ধক্য জনিত সময় আসার আগেই জীবন নাসের হুমকি খুব বেশী ।
তবে সু সংবাদ একটাই সদ্য গবেষণা অনুসারে দেখানু হয়েছে যারা একবার আক্রান্ত হয়ে ভাল হয়ে যান পরবর্তীতে তারা পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা না থাকলেও তাদের কাছ থেকে ও সুস্থ শরীরে তা সংক্রামিত হতে পারে বিধায় যে কোন পরিবারের যে কেউ একবার আক্রান্ত হলে উক্ত পরিবারের সকলের ই প্রতিষেধক হিসাবে ভ্যাকসিন নেওয়া কর্তব্য । দুঃখ জনক হলে ও সত্য ক্রনিক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস যখন লিভার কে প্রথম অবস্থায় আক্রমণ করে তখন তেমন খারাপ লক্ষন বুজাই যায়না, কিন্তু যখন লিভার সেল সমুহ কে ধংস করে ফেলে তখন ৯৬% বেলায় কিছুই করার থাকেনা ।

 

 

ভাইরাস টি কীভাবে সংক্রামিত হয় ?  ( Red Alert !!!!

b-06
১- একের অধিক ব্যক্তির সাথে অনিরাপদ শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হলে বা ( তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে যারা পতিতা অথবা ভাসমান কারও সাথে যৌন মিলন করেন তারাই এই ভাইরাসটি স্বীকার বেশী হয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে আক্রান্ত ব্যাক্তি পুরুষ থাকলে তার কাছ থেকে গর্ভবতী মা এবং তার গর্ভস্থ শিশু আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা শতভাগ , বিপরীত দিকে আক্রান্ত ব্যাক্তি মহিলা হলে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক যুক্ত যে কেউ এর স্বীকার অনিবার্য । ইউরোপ অ্যামেরিকার দেশ সমুহে পুরুষ সমকামীরা বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকেন ) আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকলে । প্রসঙ্গত জেনে রাখার জন্য উল্লেখ করতেই হয় অনেকেই মনে করে নিরাপদ যৌন মিলন ( কনডম ) করলে তা সংক্রামিত হয়না , বিষয়টি সব ক্ষেত্রে সঠিক নয় বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যাক্তির মুখের লালা রস থেকে শরীরের যে কোন রক্ত প্রবাহে ঢোকে পরে এইডসের চাইতে খুব সহজে ( টোঠ, ও স্পরশকাতর চামড়ার মাধ্যমে ) অর্থাৎ ওড়াল যৌন ক্রীড়ায় ও তা প্রবাহিত হয়ে থাকে ।
২- এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যাক্তির একই সিরিঞ্জ, সুঁই , শরীরে উল্কি আঁকা, স্যালুনে ব্যবহৃত ক্ষুর, রেজর, ব্লেডঃ, হাসপাতালে হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের পরিচর্যার কারণে, ডেন্টিষ্টের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত(অনিরাপদ) যন্ত্রপাতি, সিরিঞ্জ এ মাদক নেয়া, আক্রান্ত ব্যাক্তির মুখের সিগারেট ইত্যাদি ব্যাবহার করলে ।
মোট কথায় আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত, বীর্য, যোনি রস, মুখের লালা থেকে সুস্থ দেহে এর বিস্তৃতি ঘটে থাকে । তবে মনে রাখবেন এই ভাইরাস সামাজিক মেলামেশায় (হ্যান্ড শেক, কোলাকুলি) ,দুধ দান এবং কাশির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না। এমনকি রোগীর ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যেমন- গ্লাস, চামচ, জামা কাপড়ের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায় না।।

 

 

হেপাটাইটিস- বি এর উপসর্গ সমূহঃ

b-09
৫০% বেলায় আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক ভাবে তেমন কোন কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে বা অনেক ক্ষেত্রে জ্বর, ক্লান্তিবোধ, শরীর টনটন করা, ব্যাথা, বমি ভাব এবং ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়া ছাড়া আর তেমন কিছু বুজা যায়না – তখন হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস লিভারে মৃদু ইনফেকশন চালিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত অসুখটি রোগীর অজান্তেই সেকেন্ডারী পর্যায়ে চলে যায় যাকে আমরা ক্রনিক হেপাটাইটিস বা দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন বলে থাকি । এই রোগের সুপ্তবস্থা (ভাইরাস সংক্রমন থেকে রোগের লক্ষণ পর্যন্ত) প্রায় ৪ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ।

তারপর ও হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের ২৮ দিন থেকে থেকে ৬ মাসের ভিতর যে যে লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে তা নিম্নরূপ ঃ
*পেট ব্যথা * গাঢ় রংয়ের প্রস্রাব *অস্থিসন্ধিতে ব্যথা *ক্ষুধা মন্দা * ক্লান্ত এবং অবসাদ অনুভব করা *শরীরের চামড়া ফ্যাঁকাসে হলুদ হয়ে যাওয়া , চোখ সাদা ফ্যাকাশে হওয়া ( গ্রামের অনেকেই একে মাটিয়া হল্মি বলে অবহিত করেন )

অসুখটি ক্রনিক পর্যায়ে চলে গেলে যে সব লক্ষন দেখা যায় ঃ
– লিভারে ব্যথা করা – খাদ্যে অরুচি – দুর্বলতা (কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়, যদি কোন কারন বশত হঠাত দুরবলতা বেশী বৃদ্ধি পায় বা রোগী গুরতর দুর্বল হয়ে পরে তাহলে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা উচিৎ । একে Fulminate hepatitis বলা হয় , নিচে এর লক্ষন সমুহ দেওয়া আছে )
– জ্বর ও বমি, – পেট ব্যথা , পেটের ডান পাশে ব্যথা অথবা অস্বস্তিবোধ করা, লিভার ও প্লীহা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গ ও লক্ষণ দেখা দেওয়া ( ৬% বেলায় সেকেন্ডারি পর্যায়ে যাওয়ার সাথে সাথেই তা দেখা দেখা দেয় ) ,
– শরীর চুলকানো ( এটি সকল হেপাটাইটিস রোগের লক্ষণ) – প্রসাব চা এর মত কালো হয়ে যাবে – পায়খানার রঙ ফ্যাকাশে (ধূসর বা কাদামাটি রঙের মত )
( এ ক্ষেত্রে যারা হাইপার এসিডিটিতে ভোগে থাকেন তাদের প্রায় ই অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা বা আই বি এসের মত লক্ষন দেখা দিয়ে থাকে ) বা তাদের বেলায় কালচে হলদে বর্ণের চোখ এবং ত্বক হতে পারে ।
ধীরে ধীরে অসুখটি বৃদ্ধির সাথে – রক্তস্বল্পতা- ওজন কমে যাওয়া- মাংসপেশী এবং হাড়ের সংযোগস্থলে (গিটে) ব্যথা ও চুলকানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে ।

 
ফ্লামিনেট হেপাটাইটিস ( fulminant hepatitis). ঃ

b-010
যে সকল ক্রনিক হেপাটাইটিস রোগী হঠাত করেই খুব দ্রুত দুর্বল ও অজ্ঞান হয়ে পরেন তাদের কেই বলা হয় – যা ২% বেলায় দেখা যায় – সে সয় রোগীর মানসিক বিভ্রান্তি , তন্দ্রা, নিদ্রাহীনতা বা হ্যালুসিনেশন ও দেখা দিতে পারে ( স্বপ্নে পাওয়া অনেক কিছু ) , একি সাথে বমি বমি ভাব দীর্ঘায়িত হওয়া সহ প্রস্রাবের মাত্রা কমে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন সহ পেটের ফোলা বৃদ্ধি পেতে ( ধরে নিতে হবে রোগী কয়েক সপ্তাহের ভিতর লিভার ফেইলার হতে পারে ) ইত্যাদি সহ শারীরিক অনেক জঠিলতা দেখা দিতে পারে বা তখন অনেক ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ও তেমন সুস্থ হওয়ার কথা নয় , অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত …………………।

 

কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে

b-08

এইচবিএস এজি’ও (Hbs Ag- Hepatitis B surface antigen ) ( এর অর্থ হলো হেপাটাইটিস-বি সারফেস এন্টিজেন যা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের দেহ থেকে নি:সৃত হয়ে থাকে ) । হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হলেই রক্তের এইচবিএস এজি (Hbs Ag) পরীক্ষা পজিটিভ হয়। অর্থাৎ আপনি নিশ্চিত সাম্প্রতিক বা দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত — !
হেপাটাইটিস বি টাইপ ই অ্যান্টিজেন ( Hepatitis B type e antigen – HBeAg) পজেটিভ হলে বুজে নিতে হবে আপনি দীর্ঘ স্থায়ী হেপাটাইটিস বি দ্বারা আক্রান্ত এবং আপনার শরীরের এই ভাইরাস একটিভ বিধায় আপনি একজন সংক্রামক বা আপনার শরীরের রক্ত, লালা, বীর্য বা যোনি রস ইত্যাদি যে কোন সুস্থ শরীরে ঢোকতে পারলে সুস্থ ব্যাক্তি ও সংক্রামিত হবে ।
Antibody to HBsAg (Anti-HBs) পজেটিভ হলে বুজতে হবে আপনার এন্টি- হেপাটাইটিস ভ্যাকসিন দেওয়া আছে এবং আপনি সংক্রামিত হওয়ার সম্বাভনা কম ।
যকৃতের পরীক্ষা ঃ- ( এ সব পরিক্ষা পুরাতন রোগীদের বেলায় করতেই হয় যকৃতের কর্ম ক্ষ্যামতা পরিষ্কার ভাবে বুজার জন্য )
AST(SGOT অর্থাৎ আপনার রক্তে এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা তা দেখা ) HBV- DNA বা ভাইরাল লোড PCR (polymerase chain reaction) ইত্যাদি ।
যদি রোগী দীর্ঘ স্থায়ী বা ক্রনিক হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং লিভারের কিছুটা গোলাযোগ পরিলক্ষিত হয় বা লিভার ড্যামেজ হওয়ার সম্বাভনা থাকে তাহলে আপনার চিকিৎসক লিভার বায়োস্পি করার কথা বলতে পারেন ( লিভার বায়োস্পি হচছে চিকিৎসক সিরিঞ্জের মাধ্যমে আপনার লিভার থেকে কিছু কোষ সংগ্রহ করে ল্যাব্রোটারিতে পরিক্ষা করা, ইহা করার আগে কিছু উপদেশ আছে পানার চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিবেন )

 

হেপাটাইটিস- বি ভাইরাসে চিকিৎসা কি?

b-011
( রিসার্চ ঃ মুলত হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কোন ঔষধ বাহির হয়নি, যাই হয়েছে তা শুধু মাত্র যকৃতের প্রদাহ বিরোধী ঔষধ বাহির হচ্ছে, জেনে রাখা ভাল বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মুলত তা আমাদের যকৃতকে অকার্যকর করা ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনা – সেই সুত্র ধরেই – বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর যকৃত কে যে কোন ভাবে প্রদাহ মুক্ত রাখতে পারলেই উক্ত রোগীর তেমন বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার সম্বাভনা নাই — অর্থাৎ রোগী সারা জীবন ই সুস্থ থাকবে ।
তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বি-ভাইরাস নিম্নের যে কোন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে শতভাগ ভাল হওয়ার সমাভনা আছেই । DNA Inhibitors- Capsid Inhibitors – Immune System Activators– Natural Antiviral Agents– ( এর মধ্যে Natural Antiviral Agents এর উপর বেশ গুরুত্ব দেওয়া হইতেছে ) ————

একিউট বি- ভাইরাসের
একিউট বি- ভাইরাসের জন্য তেমন কোন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না কেননা শরীরের এন্টিবডি ৫০% বেলায় তা এমনিতেই প্রতিহিত করতে পারে তবে সে সময় রোগীর বিশ্রাম এবং পরিপূরক শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধিকারক খাবার খাওয়া অবশ্যই জরুরী । মনে রাখবেন এই ভাইরাস ৩০-৩৫ বছর পরও সুপ্ত অবস্থা থেকে সক্রিয় হতে পারে ! ( HBeAg)

 

 

সেকেন্ডারি বা দীর্ঘ মেয়াদী এইচবিএস এজি পজেটিভ রোগীদের বেলায় ঃ
এইচবিএস এজি পজেটিভ থেকে নেগেটিভ করতে হলে প্রথমেই রোগীর শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেই সাথে যাদের লিভারের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকের চাইতে কম তাদের জন্য — লিভাররের কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য বর্তমানে আবিষ্কৃত নতুন কিছু ঔষধ বাহির হয়েছে যা ৭০% রোগীর বেলায় কার্যকর ।
যদি রোগীর ইতিহাসে এইচবিএস এজি পজেটিভ ৬ মাসের উপরে থাকে এবং যকৃ্ত সঠিক কাজ করে তাহলে নিচের ঔষধ সমুহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যাবহার করার পরামর্ষ দিয়ে থাকেন —
পেগালিটেড ইন্টারফেরন আলফা ২-বি বা পেগাসিস ইনজেকশন ব্যাবহারে ৬ মাসের মধ্যেই অনেকের এইচবিএস এজি নেগেটিভ হতে দেখা যায় , কিন্তু ইনজেকশন সমুহ খুব বেশী ব্যাবহুল ( ৪/৫ লক্ষ টাকা ) যা সকলের পক্ষে এর ব্যায়ভার বহন করা সম্বভ নাও হতে পারে –
সে ক্ষেত্রে ট্যাবলেট সেবনের পরামর্ষ দেওয়া হলে ও মুখে খাওয়ার ঔষধ ব্যাবহারে ভাইরাস ন্যাগেটিভ হতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । বিপরীত দিকে দীর্ঘদিন ঔষধ সেবনের ফলে ১০% বেলায় অন্যান্য প্রতিক্রিয়া ও দেখা দিতে পারে , সে দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ ।
Interferon alfa (Intron A, Roferon A, Sylatron). ইনজেকশন ঃ
যে কোন একটি ইনজেকশন প্রতি সপ্তায় ১টি করে (180 mcg ) ২৪ সতাহ থেকে ৪৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে – তবে চাইলে আপনার চিকিৎসক অসুখের উপর ভিত্তি করে মাত্রার রদ বদল করতে পারেন যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইচবিএস এজি ৬ মাসের মধ্যেই তা নেগেটিভ পর্যায়ে চলে যায় —

b-1
আর ও বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ঃ
( https://www.drugs.com/pegasys.html )
অথবা – আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে নিচের যে কোন একটি এন্টি-ভাইরাল ড্রাগস দীর্ঘ দিন সেবন করতে হবে এবং সে সময় সঠিক ডোজ সেবন শেষে রক্তের HBsAg পরিক্ষার প্রয়োজন — ইত্যাদি
lamivudine: 100mg per day (note that this dose differs from the dose used in drug combinations to treat HIV infection এবং তা লিকোইড হিসাবে ও পাওয়া যায় ।
অথবা – adefovir: 10mg per day ( lamivudine এর চাইতে আরেকটু উন্নত )

অথবা – entecavir – 0.5 or 1.0mg per day, depending on previous treatment history অথবা entecavir লিকোইড সেবন করতে পারেন ।
অথবা – telbivudine: 600mg per day অথবা tenofovir: 245mg per day. ( ইহা পাউডার হিসাবে ও বাজারে পাওয়া যায় )

উপরের ঔষধ সমুহ কম পক্ষে এক বছরের জন্য ব্যাবহার করতে হয় …………………………………।
দুর্ভাগ্য ক্রমে জীবাণু গুলো নেগেটিভ না হলে এবং যকৃতের প্রদাহ বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীতে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা ছাড়া আর বিকল্প ব্যাবস্থা নাই —– ! ( মুলত উপরের ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয় লিভারের ক্ষতি না করার জন্য এবং এর ভিতরেই শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে ভাইরাস সমুহ কে ধ্বংস করে দেয় )
সাথে আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে মাঝে মধ্যে ভিটামিন-সি 500 – 1,000 mg 1 – 3 times daily এবং প্রোবাইয়োটিক সাপ্লিমেন্ট (containing Lactobacillus acidophilus, Engerix-B-/ Recombivax HB )প্রতিদিন সেবন করলে আপনার লিভারের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করতে একটু সহায়ক হতে পারে ।

 

 

২- Natural Antiviral Agents সবচেয়ে বেশী কার্যকর ভেষজ সমুহ ঃ

h-20
সুত্রঃ কোন ভেষজ ই হেপাটাইটিস ভাইরাস কে ধ্বংস করেনা , তারপর ও গবেষণা অনুসারে কিছু ভেষজ আছে যা শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি কারক এবং এন্টি-ভাইরাল হিসাবে কাজ করে ইহা সত্য এবং সে জন্য- বিশ্বে সবচেয়ে ভাল লিভারের বল বর্ধক হিসাবে, যা বায়ো-মেডিক্যাল রিসার্চ অনুসারে প্রমাণিত আমি তাই নিচে তুলে ধরলাম -( যদি ও অনেকে হাজার ও ভেষজের কথা বলে থাকেন লিভারের বলবর্ধক বা ভাইরাল বিরোধী কিন্তু ড্রাগস এন্ড মেডিসিন রিসার্চ অনুসারে মাত্র ১% সত্য এবং তাও ৩-৪% কার্যকর । তাই শুনা কথার উপর ভিত্তি করে এই সব শুনা বা আইডিও-লজিক্যাল চিকিৎসা থেকে দূরে থাকাই ভাল ।
(নিম্নের ভেষজ গুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই , যদি না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে চেক করে কিনে নিতে পারেন , ইউকে অ্যামেরিকা বা চায়নার ভেষজ সমুহ মান উন্নত ও মান সম্মত । অনুরুধ থাকবে তা যেন স্বীকৃত কোম্পানির হয় )
পৃথিবীতে লিভারের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধি কারক হিসাবে ঋষি মাশরুম ই সবচেয়ে ভাল একটি হারবাল ভেষজ Reishi mushroom (Ganoderma lucidum), সে জন্য ঋষি মাশরুমের পাউডার বা ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন লিভারের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য । জি লোসিডিয়াম একমাত্র ঋষি মাশরুমেই সবচেয়ে বেশী থাকে ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি বিস্তারিত ঋষি মাশরুম ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন ) – যা ক্যানসার প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষ একটি বায়বীয় উপাদান —
রিসার্চ পেইজ ( https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmedhealth/PMH0046740/ )

h-21
মিল্ক থিস্লে ঃ Milk thistle (Silybum marianum): এই ভেষজ টি রোমান যুগ থেকেই লিভারের প্রতিরোধ ক্ষ্যামতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাবহার করা হইতেছে এবং আধুনিক বিজ্ঞানে ও তা স্বীকৃত by the U.S. Agency for Healthcare Research and Quality (AHRQ), …।। ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি বিস্তারিত ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন )
রিসার্চ পেইজ ( http://umm.edu/health/medical/altmed/herb/milk-thistle )
কাল জীরার তৈল ঃ Black Seed Oil – যদি ও ভেষজটি ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের জন্য বেশ উপকারী তাথে সন্দেহ নেই তবে যে সকল লিভার হেপাটাইটিস রোগীর রক্তে কোলেস্টারলের মাত্রা বেশী তাদের বেলায় , তা সেবনে ভালর চাইতে খারাপ রিজাল্ট বেশী দেখা দিতে পারে । তাই রক্ত পরিক্ষা না করে তা সেবন করা মোটেই উচিৎ নয় ।
অলিভ লিফ ক্যাপসুল ( Olive Leaf Capsules )- এই ভেষজ টি নিঃসন্দেহে লিভারের জন্য একটি এন্টি- ব্যাক্টোটোরিয়েল, এন্টি-ফাঙ্গাল এবং এন্টি- ভাইরাল ভেষজ হিসাবে স্বীকৃত এবং খুবি ভাল একটি এন্টি-অক্সাইডেন্ট এজেন্ট , তাই ওলিব লিফ এক্সট্র্যাক্ট ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন – জাপানের বাজারে আরেকটু উন্নত পর্যায়ে জ্যাল অক্সিজেন ক্যাপসুল বা পাউডার নাম দিয়ে বাজারজাত করা হয়েছে ( Zell Oxygen ) .. ( সেবন ও বিধি নিষেধ ইত্যাদি বিস্তারিত ঔষধের লিফলেট থেকে জেনে নিন )
Licorice root (Glycyrrhiza glabra): ………………………।। ( পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় )
( উপরের ভেষজ সমুহ আন্তর্জাতিক বায়ো-রিসারচ অনুসারে লিভারের এন্টি-বডি শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রমাণিত ভেষজ )

 

 

৩- হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মাবলী ঃ ( রক্ত পরিক্ষায় হেপাটাইটিস ভাইরাস পজেটিভ হলে ভ্যাকসিন কাজ করবেনা )
ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম- ( Hepatitis B vaccination )

b-012
একজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য – প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৮ দিন পর ২য় ভ্যাকসিন দিতে হয় ( ২য় ভ্যাকসিন টি খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিধায় ২৮ দিন অথবা ৩০ দিনের ভিতর দিতেই হয় , তবে কোন অবস্থায় ২৮ দিনের আগেও নয় ) ৩য় ভ্যাকসিন ৬ মাস পর দিলেই হয় তবে তবে কোন অবস্থায় ১৬ সপ্তাহের আগে নয় এবং যদি কাক্ষিত টাইটার অর্জিত না হলে ৩য় ডোজের পর অতিরিক্ত আর একটি ডোজ (বুস্টার ডোজ) নিতে হয় । ( সর্বশেষ তথ্যঅনুসারে জানানো হয়েছে বোস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই ) । যদি ভ্যাকসিন গুলো প্রাইভেট দিতে হয় তাহলে চেস্টা করবেন ভ্যাকসিন সমুহ যেন প্রথম শ্রেণীর উচ্চমানের হয় ।
RX/ Recombivax HB (40 mcg/mL): 40 mcg IM OR Engerix-B (20 mcg/mL): 40 mcg IM at

 
নবজাতক শিশু এবং তার মায়ের জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা যা করতে হয়, তা নিম্নরূপ ( যদি মা HBsAg পজেটিভ থাকেন তাহলে অবশ্যই সন্তান প্রসবের ১২ ঘন্টার ভিতরেই প্রথম ভ্যাকসিন দিতেই হবে )

b-013
Routine vaccination
⦁ First dose: Administer first dose to all newborns before hospital discharge
⦁ Infants born to HBsAg-positive mothers: 0.5 mL IM within 12 hr of birth PLUS hepatitis B immune globulin (HBIG); test for HBsAg and antibody to HBsAg (anti-HBs) 1-2 months after completion of hepatitis B vaccination series, at age 9 through 18 months
⦁ Mother’s HBsAg status unknown: 0.5 mL IM within 12 hr of birth PLUS give HBIG if newborn wt <2 kg; determine mother’s HBsAg status as soon as possible and, if she is HBsAg-positive, also administer HBIG for infants weighing 2 kg or more (no later than age 1 week)

used for doses administered before age 6 weeks
⦁ Infants who did not receive a birth dose should receive 3 doses of a HepB-containing vaccine on a schedule of 0, 1 to 2 months, and 6 months starting as soon as feasible
⦁ Minimum interval between dose 1 and dose 2 is 4 weeks, and between dose 2 and 3 is 8 weeks
⦁ Final (3rd or 4th) dose in the HepB vaccine series should be administered no earlier than age 24 weeks, and at least 16 weeks after the first dose
⦁ A total of 4 doses of HepB vaccine is recommended when a combination vaccine containing HepB is administered after the birth dose

( বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যেই সংযোজন করেছেন । এই কর্মসূচিতে শিশুকে ০.৫ মিলি ডোজের মোট তিনটি ডোজ দেয়া হয়। প্রথমটি ডিপিটির সাথে ছয় সপ্তাহ বয়সে, দ্বিতীয়টি ডিপিটি ২-এর সাথে ১০ সপ্তাহ বয়সে, তৃতীয়টি ডিপিটি ৩-এর সাথে ১৪ সপ্তাহ বয়সে। হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তাই সকলেরই এই ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা উচিত। )

অথবা ভিজিট করুন নিচের লিঙ্কে ( http://www.immunize.org/catg.d/p HYPERLINK “http://www.immunize.org/catg.d/p2081.pdf”HYPERLINKhttp://www.immunize.org/catg.d/p2081.pdf&#8221; )

 

হেপাটাইটিস- বি ( HBsAg Positive) পজেটিভ রোগীদের যা অবশ্যই করনীয় ?

b-14
নিরাপদ উপায়ে শারীরিক বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন , যার সাথে যৌন মিলন করবেন তাকে অবগত করে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক । ( যদিও বাংলাদেশে এর জন্য বাধ্যবাধকতা মুলক আইন নেই, তারপর ও ইহা আপনার মানবিক দবায়িত্ত )
আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত সুচ/সিরিঞ্জ, রেজার ব্লেড এবং দাঁত মাজার ব্রাশ ইত্যাদি অন্য কাউকে ব্যাবহার করতে না দেওয়া এবং অবশ্যই রক্ত অথবা অন্য কোন অঙ্গ দান করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
যদি তিনি গর্ভবতী মহিলা হন এবং তিনি যদিHBsAg পজেটিভ থাকেন তাহলে তিনির ডেলিভারি ও চিকিৎসার সাথে জড়িত চিকিৎসক কে জানিয়ে রাখতে হবে অথবা জরুরী ভিত্তিতে ইমারজেন্সি ডেলিভারির প্রয়োজন হলে সেখানের চিকিৎসক কে অভহিত করে রাখা বাধ্যতামূলক , নতুবা সেখানের অনেক সুস্থ মা ও শিশু বা তার সাথে সম্পর্কযুক্ত যে কেউ সংক্রামিত হতে পারেন এবং গর্ভবতী মায়ের ও জানতে হবে এতে তার শিশু জন্মের আগ পর্যন্ত কোন ক্ষতি হবেনা বা জন্মের পর পর ভ্যাকসিন দিলে তা ঠিক হয়ে যাবে ।

 

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের জটিলতা ?

h-3
যকৃত কলায় ক্ষত বা সিরোসিস ( হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস সংক্রমণে লিভারের কোষগুলো তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে লিভারের প্রায় সব কোষই নষ্ট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে লিভার সংকুচিত হয়ে ছোট হয়ে লিভার অকার্যকর হয়ে পরে ) যকৃতের ক্যানসার – হেপাটাইটিস ডিব’র সংক্রমণ — কিডনীর বিভিন্ন সমস্যা ও রক্তনালীর ধমনীতে প্রদাহ হয়ে শারা শরীর ফোলে যাওয়া ইত্যাদি …………………… ।
চলবে ——- ধন্যবাদ

 

( Created By Dr.Helal Kamaly ( MPH, UK ) Hon PhD … Last pt ( PHMR )

50 years of liver research: BMC Medicine joins ILC 2016
Ferrucci LM, Bell BP, Dhotre KB, et al. Complementary and alternative medicine use in chronic liver disease patients. J Clin Gastroenterol. 2010;44(2):e40-e45.
Ferenci P, Scherzer TM, Kerschner H, et al. Silibinin is a potent antiviral agent in patients with chronic hepatitis C not responding to pegylated interferon/ribavirin therapy. Gastroenterology. 2008;135(5):1561-7.
Firpi RJ, Nelson DR. Current and future hepatitis C therapies. Arch Med Res. 2007;38(6):678-90.
Gish RG. Improving outcomes for patients with chronic hepatitis B. Hepatol Res. 2007;37(s1):S67-S78.
Goldman. Goldman’s Cecil Medicine. 24th ed. Philadelphia, PA: Elsevier Saunders. 2011.
Gorban EM, Orynchak MA, Virstiuk NG, Kuprash LP, Panteleimonov TM, Sharabura LB. [Clinical and experimental study of spirulina efficacy in chronic diffuse liver diseases.] Lik Sprava. 2000(6):89-93.
Honer zu Siederdissen C, Manns MP, Cornberg M. Which treatment options are validated for chronic viral hepatitis? Internist (Berl). 2013;54(12):1427-8.
Hou JK, Velayos F, Terrault N, Mahadevan U. Viral hepatitis and inflammatory bowel disease. Inflamm Bowel Dis. 2010;16(6):925-32.
Langmead L, Rampton DS. Herbal treatment in gastrointestinal and liver disease–benefits and dangers. Aliment Pharmacol Ther. 2001;15(9):1239-52.

Leave a comment