মহিলা জনন তন্ত্রের গঠন এবং হরমোন -সূচনা পর্ব – ( মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় যা মেডিক্যাল সাইন্স এন্ড রিসার্চ অনুসারে বর্ণীত )


pen 4

 

শিক্ষণীয় – ডকুমেন্টারি প্রমাণ্য ভিত্তিক একটি বিষয় যা সদ্য রিসার্চ থেকে নেওয়া হয়েছে – যা থেকে সবাই উপকৃত হবেন বা অনেক অজানা কিছু শিখতে জানতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস – এবং যদি বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে এই সব বিষয় সামান্য জেনে রাখেন তাহলে ব্যাক্তিগত পারবারিক জীবনে, পুরুষ – মহিলা- সবাই , কিছু না কিছু উপকৃত হওয়ার কথা – সেই সাথে তরুন – তরুণীরা ও অনেক টা নিজকে সংশোধন করে নিতে পারবে এবং পরোক্ষ ভাবে সামাজিক অপরাধ জাতীয় প্রবণতা ও সত্য কিছু জেনে রাখতে পারবে বলে মনে হয় – সেই কথা মাথায় রেখেই আমার লিখা , কাউকে খুশি করা বা সুনাম অর্জনের জন্য নয় – ধন্যবাদ ( ডাঃ হেলাল কামালি )
Reference from:- Dr Domingoঃ- University Hospitals Bristol NHS Trust / University of Manchester / Uni Rochester sex & Education – Alternatives to Human Growth Hormone HGH & sex hormone -Human Sexuality-Sexual Attitude Restructuring & Sexual Pleasure Education Research ( Uni of BIU ) And few of article from WHO & Bangladeshi Medical proffesors ( Created by Dr.Helal Kamaly )

 

ov-2

 

স্ত্রী প্রজনন তন্ত্র দুটি প্রধান অংশের সমন্বয়ে গঠিত। স্ত্রী জননতন্ত্র প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত করা যায় – বাহ্যিক যৌনাঙ্গ ও অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ।
অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ ঃ- প্রথম ঃ- জরায়ু, যেখানে ফিটাস বিকশিত হয়, যোনীয় ও জরায়ুজ ক্ষরণ উৎপন্ন হয় এবং পুরুষের শুক্রাণু ফেলোপিয়ান নালিতে পরিবহন করে নিয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঃ- প্রধান অংশ হচ্ছে ডিম্বাশয়, যা ডিম্বাণু উৎপন্ন করে। এ সবই শরীরের অভ্যন্তরীন অংশ। যোনি শরীরের বাইরে ভোলভার সাথে যুক্ত যা লেবিয়া, ক্লিটোরিস, এবং মূত্রনালী নিয়ে গঠিত। যোনি, জরায়ুর সাথে সারভিক্স দ্বারা সংযুক্ত; ডিম্বাশয়, উভয় পাশে দুই ফেলোপিয়ান নালির মাধ্যমে জরায়ুর সাথে সংযুক্ত। নির্দিষ্ট সময়ে ডিম্বাশয়, ডিম্বাণু ক্ষরণ করে যা ফেলোপিয়ান নালি হয়ে জরায়ুতে এসে পৌঁছে।

 

Overy বা ডিম্বাশয় ঃ

ov-1
ডিম্বাশয় দেখতে অনেকটা ডিম্বাকার এবং—দৈর্ঘে ৩ সে.মি., প্রস্থে ১.৫ সে.মি., এবং পুরু ১.৫ সে.মি.। (যেকোনো একটির জন্য) শরীরে এর অবস্থান পেলভিস বা শ্রোণীর দেয়াল ঘেষে, যাকে বলা হয় ওভারিয়ান ফসা। সাধারণত ফসার নিচে থাকে বহিঃস্থ ইলিয়াক ধমনী এবং সামনে থাকে মূত্রনালী ও অন্তঃস্থ ইলিয়াক ধমনী। প্রতিটি ডিম্বাশয় ফেলোপিয়ান টিউবের ফিম্‌ব্রিয়ার সাথে যুক্ত।ইহা একজোড়া করে থাকে। সাধারণত প্রতিটি ডিম্বাশয়ই প্রতি মাসে ডিম্বক্ষরণ করে। কিন্তু কারণবশত, একটি ডিম্বাশয় না থাকলে বা কাজ না করলে অপর ডিম্বাশয়টি ডিম্বক্ষরণ চালিয়ে যেতে থাকে।
স্ত্রী প্রজননকাল শুরু হয় ১২ -১৫ বৎসরের ভিতরে এবং স্থায়ী থাকে ৪৫ বৎসর পর্যন্ত ( গড়ে এশিয়ান মহিলাদের ৩৪ বয়স পর্যন্ত ) এই সময়ের ভিতরে ডিম্বাশয় থেকে গ্রাফিয়ান ফলিকল ( ডিম ) উৎপন্ন হয় তার সারা জিবনে প্রায় ৪৫০টি। এরপর নারীর প্রজনন ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায় । ওভারি প্রথম সন্তান জ্নদানের পর আর কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যায় না। জন্মগত ত্রুটি হিসেবে ডিম্বাশয় না থাকলে ঋতুস্রাব হবে না, গর্ভধারণও হবে না কিন্তু একজন নারী বেঁচে থাকবে। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বস্থলন হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে ওভুলেশন বা ডিম্ব পরিস্ফুটন প্রক্রিয়া ।
ডিম্বাশয় পুরুষের শুক্রাশয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এতে গোনাড ও অন্তঃক্ষরা উভয় প্রকার গ্রন্থি-ই রয়েছে। ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন গ্রাফিয়ান ফলিকল ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালীতে আসে। এই সময় গ্রাফিয়ান ফলিকল-এর একটি অংশ ডিম্বাশয়ে থেকে যায়। থেকে যাওয়া এই অংশটির রং হলুদ। একে বলা হয় করপাস লুটিয়া (Corpus lutia)। এর কোষগুলো ইস্ট্রোজেন (Estrogen) এবং প্রোজেস্টেরন (Progesteron) নাম দুটো স্ত্রী হরমোন নিঃসরণ করে। ইস্ট্রোজেন-এর প্রভাবে ফলে গর্ভকালীন সময়ে নারীর স্তনকে পুষ্ট ও বৃদ্ধি করে। একই সাথে জরায়ুর আকার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পক্ষান্তরে প্রোজেস্টেরন জরায়ুর ভিতরে ভ্রণের পূর্ণ বিকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে। ( বিস্থারিত যৌন রোগ অধ্যায়ে জানতে পারবেন ) অর্থাৎ ডিম্বাশয় দুটি ই শরীরের প্রধান দুইটি কাজ করে , প্রথমত oocytes (ডিম) উৎপাদন করা দ্বিতীয়ত প্রজনন হরমোন উৎপাদন করা ( ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন )

 

ডিম্বাণু (Egg Cell or Ovum) ঃ-

ov-4
ডিম্বানু বলতে জীবের স্ত্রীজনন কোষ বুঝানো হয় যা জীবের যৌন জনন প্রক্রিয়ায় শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়ে থাকে। ডিম্বাণু সাধারনত হ্যপ্লয়েড ক্রোমোসোম ধারন করে থাকে। নিষিক্ত ডিম্বাণু ডিপ্লয়েড যা প্রথমে জাইগোট গঠন করে যা পরবর্তিতে ভ্রূন এবং শিশু জীবে পরিনত হয়।
ডিম্বানু থাকে ডিম্বাশয়ে। একটা মেয়ের ডিম্বাশয়ে মিলিয়ন সংখ্যক অপরিণত ডিম্বানু থাকতে পারে । ডিম্বস্ফোটনের সময় পরিণত ডিম্বানু ফেলোফিয়ান নালিকা দিয়ে ক্রমশঃ নালিকার নিচের দিকে যেতে থাকে এবং অপেক্ষারত শুক্রানুর সাথে (যদি থাকে) মিলিত হয়ে নিষিক্ত হয়। ডিম্বস্ফোটনের সময় সম্ভাব্য গর্ভধারণ প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য জরায়ুর প্রাচীর পুরু হয়ে উঠে। সাধারণত একবার ডিম্বস্ফোটনের সময় একটা ডিম্বানুই নির্গত হয়। একটা ডিম্বানু ডিম্বাশয় ত্যগ করার পর সাধারণতঃ আর ১২-২৪ ঘন্টা বেঁচে থাকে।ডিম্বস্ফোটনের সময় অনেকে ডিম্বাশয়ের আশেপাশের এলাকায় মৃদু ব্যাথা অনুভব করতে পারে। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় mittelschmerz বলে। ডিম্বস্ফোটনের সাথে মাসিকের (Menses)কোন সম্পর্ক নেই। ডিম্বস্ফোটন না হলেও মাসিক হতে পারে আবার মাসিক ছাড়াও ডিম্বস্ফোটন ঘটতে পারে।অনিষিক্ত ডিম্বানু খন্ড বিখন্ড হয়ে পরে জরায়ুর প্রাচীর কর্তৃক শোষিত হয়ে যায়।
একজন পূর্ণাঙ্গ রমণীর ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নির্গত হয় এবং এই ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রকিটের সাথে পরিস্ফুটন না হলে তা আবার নস্ট হয়ে চলে যায় ( যাকে মাসিক প্রক্রিয়া বলে , ২৮ দিন গড়ে, শ্রী রোগ অধ্যায়ে বিস্থারিত ) । একজন নারী পিউবারটিস সময় থেকে শুরু করে মেণপোজের সময় পর্যন্ত ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত তার জিবনে প্রায় দুই মিলিয়ন oocyte বা ডিম ডিম্বাশয়ে তৈরী করার যোজ্ঞতা রাখলেও মাসে মাত্র একটি ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় এবং শ্রী জীবনে ৪৫০ পর্যন্ত ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের ক্ষমতা থাকে । শুধু এক ডিম্বাশয় থেকে একটি একক oocyte বা ডিম প্রতিটি মাসিক চক্র সময় মুক্তি হয় বা প্রতিটি ডিম্বাশয় একটি ডিম মুক্তির মধ্যে একটি বিকল্প মোড় নেয়.
একজন মহিলা পিউবারটি থেকে মেনপোজ পর্যন্ত ডিম্বাশয়ে প্রায় ৩-৪ লক্ষ প্রিমর্ডিয়াল ফলিকল (Primordial folicle) থাকে এই ফলিকলগুলো হরমোনের প্রভাবে প্রতিমাসে বৃদ্ধি পায়। এদের ভিতরে একটি ফলিকল সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করে। একে বলা হয় গ্রাফিয়ান ফলিকল (Graafian folicle)। প্রজননের ক্ষেত্রে এই গ্রাফিয়ান ফলিকেল ( উর্বর ডিম্ব’। ) ই সন্তান হিসাবে জন্ম নেয় সেই হিসাবে একজন মহিলা সারা জিবনে 400-500 ডিম পরিস্ফুটনের যোগ্যতা থাকে ( অর্থাৎ ৪০০/ ৫০০ সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা থাকত যদি ……………………।। ( রিসার্চ ) !!!!! ( অর্থাৎ একজন মহিলা চাইলে তার সার জীবনে ৪৫০ টি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন যদি ডিম্ব পরিস্পুটনের মুহূর্তে স্থান্তর করে টিউব পদ্ধতি বেচে নেওয়া হয় । ) সেই হিসাবে প্রথম পুরুষ আদম ( আঃ ) এবং বিবি হাওয়ার যে প্রজনন ক্ষমতা বেশি ছিল ( প্রচলিত ইতিহাস থেকে শুনা যায় ) তা ১০০% সত্য বলে প্রমাণিত । আধুনিক বিজ্ঞান তাই বলে দেয় – অর্থাৎ একজন মহিলা যদি ৪৫ বছরের ভিতরে ৪৫০ সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তা হলে বিবি হাওয়া বা তার পরবর্তী জেনারেশনরা কি পরিমাণ সন্তান জন্ম দিয়েছেন মহিলাদের ডিম্বকোষ এবং পুরুষদের শুক্রকোষের জীবন বৃত্তান্ত পর্যালোচনা করলে , আমার মনে হয় কাউকেই আর বুজিয়ে বলা লাগবেনা ।

 

অভুলেশন / ডিম্ব পরিস্পুটন প্রক্রিয়া বা গর্ভ কিভাবে হয় ঃ-

ov-5
যখন যৌন মিলন বা যে কোন উপায়ে শুক্রানু নারীর যোনিমুখ দিয়ে অথবা বাহির থেকে টিউবের মাধ্যমে জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয় ( কম পক্ষে ১ মিঃলিঃ এবং এতে ৩ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকতে পারে ) তখন কিছু কিছু শুক্রানু জরায়ুর মুখ থেকে সাঁতরে জরায়ুর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। মেয়েদের তখন ডিম্বাণুর নি:সরণ হয় । সে সময় জরায়ুর উপযোক্ত পরিবেশের কারণে জরায়ুর ভিতরের শ্লেষ্মা অন্যান্য সময়ের চেয়ে পাতলা হয়, ফলে শুক্রানু অনায়াসেই এর মধ্য দিয়ে যেতে পারে। শুক্রানু গর্ভাশয়ের মধ্য দিয়ে সাঁতরে ডিম্বনালী (ফেলোপিয়ান টিউব) এ প্রবেশ করে। এখানেই ডিম্বাশয় থেকে নির্গত ডিম্বানু অবস্থান করে। এই শুক্রানু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলে গিয়ে নিষিক্ত হয়, অর্থাৎ গর্ভাবস্থার সূচনা হয়। আর এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় ডিম্বনালীতে (শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বাণু ডিম্বনালির প্রায় শেষ প্রান্তে, অম্বুলা নামক জায়গায় মিলিত হলে নিষেক সংঘটিত হয়। নিষেকের ফলে যেটি তৈরি হয় সেটিকে ভ্রূণ বলে ) এভাবে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নি:সৃত হওয়ার পাঁচ থেকে সাতদিন পর নিষিক্ত ডিম্বাণুটি গর্ভাশয়ের দেয়ালে নিজেকে প্রতিস্থাপন করে এবং শেকড়ের মতন কিছু ‘ভিলাই’ তৈরি করে।আর এই ‘ভিলাই’গুলিই পরবর্তীতে বেড়ে উঠে গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা (প্লাসেন্টা, এমন একটি অঙ্গ যা, জন্ম নেয়ার আগ মূহূর্ত পর্যন্ত শিশুকে খাওয়ানো এবং রক্ষায় সাহায্য করে) তৈরি করে। ২৮০ দিন থাকার পর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় ( +-৭ দিন ) । এ সময়ের মধ্যে ডিম্বাশয়ে আর ডিম্ব প্রস্ত্তত হয় না। ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে এবং সন্তান সৃষ্টির কাজ প্রকৃতির অপূর্ব ভাবে চলতে থাকে।
আরেকটু স্পষ্ট করে যদি বলি ঃ- ( বৈজ্ঞানিক ভাবে ) মানুষের মোট ক্রোমোজোমের সংখ্যা ৪৬ (46) জোড়া, এর মধ্যে পিতার শরীর থেকে শুক্রাণুর মাধ্যমে আসে ২৩ জোড়া ও বাকী ২৩ জোড়া আসে মায়ের শরীর থেকে ডিম্বাণুর মাধ্যমে। মায়ের শরীরে এই শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটে যাকে বলা হয় নিষেক বা ফার্টিলাইজেশন। নিষেকের ফলেই সৃষ্টি হয় পুরো ৪৬ জোড়া ক্রোমোজোমবিশিষ্ট নতুন ভ্রূণের, যা প্রায় নয় মাস ধরে মায়ের শরীরে জরায়ুর মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে পরিশেষে নতুন শিশু হিসেবে ভূমিস্থ হয়।
ডিম্ব পরিস্পুটন বা নিষিক্ত কখন হয় ঃ– ( প্রাকৃতিক উপায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির একটা অংশ )

ov-6
মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৪ দিনের মাথায়) লুটিনাইজিং হরমোন (LH) ক্ষরণের ৩৬-৩৮ ঘন্টার মধ্যে ডিম্বকোষ (Ovum) নির্গত হয়। তখন ডিম্বকোষ যদি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যক শুক্রকোষ পায় তখন গর্ভ সঞ্চার হয় । এর পর ও ডিম্বকোষটি জীবিত থাকে আরো প্রায় ৩৬ ঘন্টা অর্থাৎ ডিম্বকোষের আয়ু সর্বমোট ৭২ ঘন্টা বা তিনদিন। অন্যদিকে যৌনমিলনের পর জরায়ু তথা ডিম্বনালীতে প্রবেশের পর শুক্রকোষও (spermatorza) জীবিত থাকতে পারে সর্বাধিক ৭২ ঘন্টা । তাই ২৮ দিনের মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি মোট প্রায় ১২০ ঘন্টা (৫দিন) হচ্ছে উর্বর সময়,–এই সময় যৌনমিলন হলে সন্তানের জন্ম হতে পারে। মোটামুটি মাসিকের ১৪ দিনের মাথায় ডিম্বকোষ হচ্ছে ধরে নিয়ে তার ২-৩ দিন আগে ও ২-৩ দিন পরে হচ্ছে এই উর্বর সময়। সাধারণভাবে ১১ তম -২০শ দিনের মধ্যকার সময়টিকে উর্বর সময় হিসাবে ধরা যায় ( বেশির ভাগ ১৪ম থেকে ১৭ম এই পাঁচ দিন ৭১% সম্বাভনা ডিম্ব নিষিক্ত হওয়ার সময় )- কখন ও এর কিছুটা ব্যাত্রিক্রম ঘটে বিধায় এর আগে পিছে দুই দিন যোগ করে নিলে মহিলাদের গর্ভ সঞ্চার হওয়ার সম্বাভনা ৯৬% মুক্ত থাকে বলে মনে করা হয় ( ১৩ম – ২১ তম= ৯ দিন ) । ( বিস্তারিত শ্রী রোগ অধ্যায়ে জেনে নিবেন )

 

হিজরা সন্তান কিভাবে হয় ঃ

এক্স এক্স প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর এক্স ওয়াই প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তর গুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরন ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন এক্স এক্স ওয়াই অথবা এক্স ওয়াই ওয়াই। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়। ( মনে রাখবেন হিজড়া শিশুকে যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে যথাযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। )

যমজ সন্তান কিভাবে হয় ?
অনেক মা ই প্রসবের সময় এক সাথে দুই বা কখনো তার অধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে কিভাবে ? । ইহা প্রকৃতিক এবং বেশ রহস্য জনক ( বিষয় টি একটু জটিল বিধায় পরবর্তীতে জানতে পারবেন ) তবে জমজ সন্তান দুই ভাবে হয়ে থাকে –
বাইনোভুলার বা ডাইজাইগোটিক (Binovular/ Dizygotic)ঃ- মায়ের জরায়ুতে শিশু দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দুটি ডিম্বানু থেকে জন্ম নেয় এবং নিষিক্ত করা শুক্রানু দুটিও সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে মিলিত হওয়ার কারণে দুটি শিশুর ভ্রুন আলাদা ভাবে তৈরি হয় একি জরায়ুর ভিতর । ফলে শিশু দুটির আলাদা আলাদা দুটি প্লাসেন্টা থাকবে এবং এদের লিঙ্গ (sex) ও ভিন্ন হতে পারে । এ ধরণের দুটি শিশুর একসাথে লেগে থাকার সম্ভাবনা একেবারে কম যা গর্ভ বতি মায়েদের যমজ সন্তান প্রসবের ৮০% ই এ রকম হয়ে থাকে । অন্যান্য বৈশিষ্টের মধ্যে এ ধরণের জন্ম নেওয়া সন্তান্দের দেহের গঠন, রক্তের নমুনা, বা অন্যান্য আচরণ এক হয়না বা দুজনের দেহের গঠন ও এক না হতে পারে ।
ইউনিওভুলার বা মনোজাইগোটিক (Uniovular/ Monozygotic) ঃ- এ ক্ষেত্রে মায়ের একটি ডিম্বানু তে নিষিক্ত হয়ে যদি দুটি শিশুর জন্ম হয় ও পরবর্তীতে নিষিক্ত ডিম্বানুটি পরবর্তীতে বিভাজিত হয়ে দুটি পূর্ণাঙ্গ শিশুতে পরিণত হয়। । অর্থাৎ শিশুর দুটির একই প্লাসেন্টা থাকে। এ ধরণের যমজ সন্তান্দের বেলায় দুটির লিঙ্গ এবং সকল শারীরিক এবং মানসিক বৈশিষ্ট প্রায় এক রকম থাকে। কারন শিশু দুটি একই জীন (Gene) বহন করে এবং সকল বৈশিষ্ট একই রকম হয় তাই এদের কে অনেক সময় আইডেন্টিকাল টুইন (Identical twin) বলা হয় । তবে অনেক সময় এই সব ক্ষেত্রে ৬০% বেলায় একটি শিশু অন্য শিশুর সাথে জোড়া লেগে থাকতে দেখা যায় সে জন্য মায়েদের একটু ঝুকি বেশি থাকা স্বাভাবিক , তার পর ও অভিজ্ঞ সার্জনের মাধ্যমে একটি শিশুর পূর্ণ জীবন ধারন ক্ষমতা রাখে । বা আধুনিক পদ্ধতিতে আর ও অনেক কিছু করা সম্ভভ । তবে সাবধান এ ধরণের মায়েদের কে সব সময় বাড়তি সতর্কতার সহিত যত্ন করে রাখবেন কেন না তিনিদের বেশির ভাগ মহিলা এনিমিয়া, এক্লাম্পসিয়া, এন্টিপারটাম হেমোরেজ, ম্যাল প্রেজেন্টেশন, প্রিটার্ম লেবার সহ নানাবিধ সমস্যা হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।

 

টেস্টিঊব পদ্ধতি ঃ-

ov-7
টেস্টটিউব পদ্ধতিতে বর্তমানে দুই ধরণের । একটি আইভিএফ (IVF) এবং ইকসি (ICSI) ।
আইভিএফ পদ্ধতি ঃ স্বামী-স্ত্রীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুকে বিশেষ জাইগেশন জিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় একটি গ্লাসের যারে বা পাত্রে একত্রীত করে নিষিক্ত করার ব্যবস্থা করা হয় তখন উক্ত পাত্রে একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য লাখের মত শুক্রাণু চাড়া হয় ( আধা মিঃলিঃ ) তখন শুক্রারুনুর নিজের ইছছায় যে কোন একটা কীট ডিম্বাণুর ভিতরে প্রবেশ করেই তাকে নিষিক্ত করে ( ভ্রূণ ) তখন যে সব পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকে তাদের বেলায় প্রয়োজনে অণ্ডকোষ থেকে আলাদা ভাবে অস্রপাচারের মাধ্যমে বিশেষ পরিক্ষার মাধ্যমে বাচাই করে সুস্থ ও মানসম্পন্ন কীট টি কে মাইক্রোজ্যানেটিক প্রক্রিয়ায় সরাসরি শুক্রকিটকে ইঞ্জেকট করে ডিম্বাণুর ভিতর ঢোকিয়ে দেওয়া হয় এবং তা একটি ইনকিউবেটরে রেখে সেখানে ভ্রূণের সৃষ্টি করা হয় যা করতে সময় লাগে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা । এইসব পদ্ধতিতে ইচ্ছা মত ডিম্বাণুর মাধ্যমে নতুন ভ্রুন তৈরি করা সম্ভব বা এ থেকে পরিক্ষা করে ভাল ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভ্রূণ টিকে মহিলাদের জরায়ুতে স্থানন্তর করা হয়ে থাকে । পরবর্তীতে মায়ের জরায়ুর ভিতর স্বাভাবিক গর্ভসঞ্চালনের মতো ভ্রুন টি বৃদ্ধি পেয়ে সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ শিশু জন্মাতে থাকে । এর আরেক নাম ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন।
এখানে শুধু মাত্র ডিম্বাশয় বা ডিম্বাণুর কাজ বাহিরে কৃত্রিম ভাবে শুক্রাণুর দ্বারা করে যথা উযোক্ত ভাবে মহিলার জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয় । এরপর স্বাভাবিক ভাবেই শিশু মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠে – মুলত ইহাই টেস্টিউব পদ্ধতি ।
আমার জানা মতে যদি স্বামী শ্রীর দুজনের ডিম্ব ও শুক্রাণুর দ্বারা তা করানো হয় ( শ্রীর ডিম্বাণুর বা অভারির কোন সমস্যা থাকলে ) তা হলে সামাজিক বা ধর্মীয় তেমন বিধি নিষেধ আসার কথা নয় ( তার পর ও ভাল ধর্ম বিশেষজ্ঞের পরামশ নেওয়া ভাল ) কেন না ইউরোপ অ্যামেরিকায় এসব তেমন দেখা হয়না বরং জেনেট্যিকেল জিনের শিশুটি উচ্চ ডিএন এ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ার জন্য অনেক মহিলা টাকা বা সম্পর্কের বিনিময়ে অনেক সুপুরুষের শুক্রাণু দিয়ে নিজ পেটে সন্তান ধারন করে থাকেন ( সে জন্য ডিম্ব বা শুক্রকিটের আলাদা ব্যাংক ও রয়েছে সেখানে হিমায়িত করে রাখার ব্যাবস্থা ও আছে ) যা এশিয়ান সমাজ ও ধর্মীয় ভাবে কখন ও তা গ্রহন যোগ্য নয় । ( আর ও জানতে হলে জ্যানেটিক্যাল অধ্যায়ে দেখুন )

 

কিভাবে একজন পুরুষের পেট হতে সন্তান জন্ম হতে পারে? :

না কখন ও একজন পুরুষ একটি সন্তান মহিলাদের মত জন্ম দিতে পারবেনা ( এক্স- ওয়াই , ক্রোমোসোমস ছাড়া, অসম্বভ ) – এখন পর্যন্ত আই ভি এফ পদ্ধতিতে ((IVF techniques ) – শুধু পারা যাবে অভুলেশন প্রক্রিয়ায় নিষিক্ত ডিম্বাণু কে পেটের ভিতর পেরিটেনিয়াম এবং ডুয়েডেনামের মধ্য বর্তি স্থানে পরিস্পুটিত ডিন্মবকে রেখে ভুমিস্ট করা যা মহিলাদের জরায়ুর বিকল্প ব্যাবস্থা মনে করা হয় – অর্থাৎ এর জন্য জীন ট্যাকনোলিজিস্ট রা প্রথমে পেটের বাহিরে শ্রীর ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রকিটকে নিষিক্ত করে তা পেটের ভিতর পেরিটিনিয়াম এর নিছে যে কোন একটি অংশে চিপমেন্ট করে রেখে দেন ( an embryo and placenta into the abdominal cavity, just under or into the peritoneum- the surrounding lining) । পরবর্তী পর্যায়ে উক্ত নিষিক্ত ডিম্বাণু ( প্লেসেন্টা ) বা গর্ভ ফুল ধিরে ধিরে সেখানে বড় হতে থাকে । সে জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যা যা করে থাকেন –

যেমন বাহির থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফেমেইল হরমোন প্রয়োগ এবং নির্দিষ্ট অতিরিক্ত কিছু তত্তবাধনে রাখতে হয় । সেই সাথে প্লেসেন্টার সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথেই অস্রপাচারের মাধ্যমে তাকে ভুমিস্ট করতে হয় । তবে বাচ্চা ভুমিস্ট হওয়ার পর এই পুরুষের স্থনে মায়েদের মত দুধ দেওয়া বা আনুসাঙ্গিক অন্যান্য কোন কিছুই করা সম্বভ নয়, যদিও হরমোন রিসার্চ অনুসারে পুরুষের স্থনে দুধ দেওানো সম্বভ, কিন্তু পুরুষের পুরুষত্ব থাকেনা বিদায় তা কখন ও অনুমতি দেওয়া হবেনা । যেমন গত বছর ইউকে তে ও এর বৈধতা দেওয়া হয়েছে – ( Thomas Trace Beatie ২০০২ সালে – তার পেটে সন্তান দেওয়া হয়েছিল – তিনির শ্রী জরায়ুর উর্বরতার কারণে বন্ধ্যাত্ত বরণ করেন, সে জন্য তার শ্রীর ডিমাবানু নিষিক্ত করে থমাসের পেটে ধারন করার জন্য দেওয়া হয় ) – তবে আধুনিক প্রযোক্তির কারণে পুরুষের পেটে সেই সন্তান কে না রেখে ও বায়োটিউবের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া সম্বভ এবং এর জন্য কোন পুরুষ বা মহিলা কারও গর্ভে সন্তান কে ধারন করতে হবেনা ( এই পদ্ধতি সব সময় খুভি ব্যায়বহুল থাকবে ) । তারপর ও গবেষণা গারে জেনেট্যিকেল ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীরা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে শক্ত সেলুলার তৈরি করার জন্য আপ্রান চেস্টা করিতেছেন, বা পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা অন্যান্য প্রানির ডিমের মত মানুষের ডিম্বাণু ও আদ্র পরিবেষে যে কেউ রাখতে পারবেন বলে মনে করা হইতেছে ( সাইন্স ট্যাক )
ফ্যালোপিয়ান নালি বা fallopian tube ঃ ফ্যালোপিয়ান নালি মূলত সিলিয়া বিশিষ্ট ভাজক টিশ্যু দ্বারা গঠিত দুটি নালি, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীতে ডিম্বাশয় থেকে শুরু হয়ে ইউটেরো-টিউবাল জাংশন হয়ে জরায়ুতে গিয়ে শেষ হয়েছে ।
জরায়ু ঃ

ov-8

– জরায়ু ( womb ঊম্‌, ইউটেরাস্‌ বা গর্ভ থলি ) স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ। জরায়ু একটি হরমোন প্রতিক্রিয়াশীল অঙ্গ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হরমোন ক্ষরণের দ্বারা এর কার্যপ্রণালী নিয়ন্ত্রিত হয়। গর্ভধারণ কালে ফিটাস জরায়ুর অভ্যন্তরে বড়ো ও বিকশিত হয়। গর্ভধারণের সময় ছাড়া মহিলাদের জরায়ু আকারে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার ব্যাস বিশিস্ট থাকে । জরায়ু একটি পেশিবহুল অঙ্গ। এর আকৃতি অনেকটা নাশপাতির মতো। জরায়ুকে চারটি পর্বে ভাগ করা যায়। যথা: ফান্ডাস (জরায়ু), কর্পাস, সারভিক্স, এবং অন্তঃস্থ অরফিস। পুরুষের শুক্র কীট যোনি পথ ধরে জরায়ুতে প্রবেশ করে, এরপর ডিম্বনালীতে অবস্থিত ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়। শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে ভ্রুণের শেষ স্থরে পৌঁছে । এরপর নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রবেশ করে। এই অবস্থাকে নারীর গর্ভ-সঞ্চার কাল ধরা হয়। জরায়ুতে ভ্রূণটি পৌঁছার ৪/৫ দিনের মধ্যে, জরায়ুর অন্তঃপ্রাচীরের গায়ে যুক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভ্রূণ ও জরায়ুগাত্রের মধ্যে কিছু কোষ যুক্ত হয়ে ভ্রূণকে স্থিতি অবস্থায় রাখে। এই সংযুক্ত কোষরাশিকে অমরা গর্ভফুল বা প্লেসেন্টা বলে থাকি । এই গর্ভফূলের দ্বারা ভ্রূণ মাতৃদেহ থেকে খাদ্য পায় এবং ভ্রূণের দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বেরিয়ে যায়। জরায়ুতে ভ্রূণটি বড় হতে থাকে। ভ্রূণের ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জরায়ু বৃদ্ধি পায়। ভ্রূণ থেকে মানব শিশুতে পরিণত হতে প্রায় ২৮০ দিন সময় লাগে। ( -+ ৭ দিন ) । আর গর্ভফুল মায়ের জঠরে থাক্র সব কিছু সহ মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন, অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন এবং মিনারেল গ্রহণে সহায়তা করে। এটি শিশুর দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে শিশুকে সুস্থ রাখে।
অন্য দিকে যদি যৌন মিলন না হয় তখন মহিলাদের অভারি থেকে ডিম্ব পরিস্পুটিত না হয়ে জরায়ুর মধ্যে ম্রিত অবস্থায় চলে আসে এবং সেখানে প্রজেসটেরোন’ নামে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়ে জরায়ুর বৃদ্ধি ও নিয়মিত মাসিকের সূত্রপাত ঘটায়। জরায়ুর ভেতরের গায়ে শ্লেষ্মা ঝিল্লির আবরণে ‘ইসট্রোজেন’ ও ‘প্রজেসটেরোনের’ সম্মিলিত ক্রিয়া শুরু হয়। সেই ঝিল্লির বিবর্তনের ফল ঋতুস্রাব। ইসট্রোজেন ও প্রজেসটেরোনের প্রভাবেই ২৮ দিন অন্তর চক্রাকারে পরিবর্তনের ফলে হয় নিয়মিত মাসিক ঋতুস্রাব হয়ে থাকে বা এর বাড়তি কমতির কারণে মহিলাদের ভিন্ন রকম মাসিক জনিত সমস্যা বা শ্রী রোগ জাতীয় অসুখ দেখা দেয় ।

 

২. সারভিক্স (Cervix)

ov-9

– সারভিক্স হল জরায়ুর নিচের অংশ যা যোনির উর্ধ্বাংশের সাথে যুক্ত থাকে। সারভিক্স বেলনাকার বা চোঙের মতন দেখতে হয়। সারভিক্সের উপবৃত্তাকার যে অংশ যোনির মধ্যে ঢুকে থাকে তাকে বলা হয় এক্টোসারভিক্স। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ সেমি. ও প্রস্থ প্রায় ২.৫ সেমি.। এক্টোসারভিক্সের একেবারে সম্মুখে অবস্থিত ছিদ্রকে সারভিক্সের বহিঃরন্ধ্র বলা হয় এবং জরায়ু থেকে শুরু করে বহিঃরন্ধ্র পর্যন্ত বিস্তৃত সারভিক্সের ভেতরের ফাঁকা নলের মত অংশকে বলা হয় সারভিকাল ক্যানাল। ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে এই ক্যানালের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ব্যাপক তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। যেসকল নারী স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে শিশুর জন্ম না দেন তাদের ক্ষেত্রে সারভিক্সের বহিঃরন্ধ্র খুব ক্ষুদ্র হয়, কিন্তু যারা স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে শিশুর জন্ম দিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ছিদ্রের আকার অনেকটাই বড়। স্বাভাবিক প্রসবের সময় জরায়ুর সংকোচনের ফলে সারভিকাল ক্যানালের ব্যাস বৃদ্ধি পেয়ে ১০ সেমি. পর্যন্ত হতে পারে।
অন্যদিকে রজঃস্রাবের সময় সারভিক্সের বহিঃরন্ধ্র ও ক্যানাল একটু বেশি ফাঁকা হয়ে যায় রজঃস্রাবে সহায়তার জন্য। সারভিক্সের এই প্রসারণই ঋতুস্রাবের সময় অনেক মহিলার তলপেটে ব্যাথার অনুভব করেন । প্রথমবার স্বাভাবিক প্রসবের পর ঋতুস্রাবের সময় এই ব্যাথা সাধারণত আর হয় না, কারণ প্রসবের ফলে সারভিক্সের মুখ অনেকটাই স্থায়ীভাবে প্রসারিত হয়ে যায় সে জন্য নর্মাল সন্তান প্রসব একটি ভাল দিক
শ্রীর যৌনাঙ্গ বা এর কাজ কি বা কেন এত অনুভুতিশিল ? ঃ- ( এ নিয়ে এত বেশি আশ্চর্য হওয়ার কিছু নয় বরং গর্ভজাত সন্তান কিভাবে গড়ে উঠে বা জীবন ধারন করে, সেটাই আশ্চর্যের বিষয় )

 

বাহ্যিক যৌনাঙ্গঃ

ov-10
(১) যোনিমুখ বা যোনিদ্বার (Vulva): স্ত্রী জননাঙ্গের সবথেকে বাইরের অংশ এটি। সাধারণ পরিভাষায় অধিকাংশ সময়ই এই অংশকে যোনি বা vagina বলে উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে যোনি হল স্ত্রী জননাঙ্গের একটি ভেতরের অংশ। এটি একটি ৩ ইঞ্চি (৮ সে.মি.) লম্বা চোঙ জাতীয়। এটি জরায়ুমুখ থেকে ভুল্বা (যোনিদ্বার) পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে এটি দু’পায়ের ফাঁকে উন্মুক্ত হয়। এটি স্থিতিস্থাপক তাই সহজেই শিশ্ন অথবা শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা করে দিতে পারে। ভুলবা বা যোনিদ্বার গঠিত হয় বৃহদোষ্ঠ (labia majora), ক্ষুদ্রোষ্ঠ (labia minora), মন্স পিউবিস (mons pubis), ভগাঙ্কুর (clitoris), ভালভার ভেস্টিবিউল, মূত্রছিদ্র (external urethral orifice), যোনি রন্ধ্র (vaginal orifice) ইত্যাদি দিয়ে।
মন্স পিউবিস বা মন্স ভেনেরিস (mons pubis): ভালভা বা যোনিদ্বারের অগ্রভাগে পিউবিক হাড়ের উপর অবস্থিত ফ্যাটি টিস্যু সম্মৃদ্ধ নরম ঢিপির মত জায়গাটিকে বলা হয় মন্স পিউবিস বা মন্স ভেনেরিস। এটি যৌনসঙ্গমের সময় আঘাত থেকে পিউবিক হাড়কে রক্ষা করে। মন্স পিউবিস সাধারণত বয়ঃসন্ধির পর থেকে পিউবিক চুল বা যৌনকেশ দ্বারা আবৃত থাকে। এই যৌনকেশের পরিমান অনেক ক্ষেত্রেই বংশগতির উপর নির্ভর করে। মন্স পিউবিস আরও নিচে নেমে দুটি বৃহদোষ্ঠে ভাগ হয়ে যায়। ইস্ট্রোজেন নামের হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধির পর থেকেই সাধারণত এই মন্স পিউবিস বাইরের দিকে ফুলে ওঠে।
বৃহদোষ্ঠ (Labia Majora): নাম থেকেই স্পষ্ট যে এটা ভালভা বা যোনিদ্বারের সব থেকে বাইরের মোরক বা “ওষ্ঠ” (lips)। ভালভার অগ্রভাগে মন্স পিউবিস থেকে শুরু করে ভালভার পশ্চাৎভাগে পেরিনিয়াম পর্যন্ত ফ্যাটি টিস্যু ও মসৃণ পেশি সমন্বিত স্ফীত ও নরম এই বৃহদোষ্ঠ দুভাগে ভাগ হয়ে যোনিদ্বার বা ভালাভার প্রায় বাকি সমস্ত অংশকে ঢেকে রাখে। বৃহদোষ্ঠের দুভাগের মাঝখানের চিড়কে বলা হয় pudendal চিড় বা খাজ। মন্স পিউবিসের মত সাধারণত বয়ঃসন্ধির পর থেকে বৃহদোষ্ঠও যৌনকেশ বা পিউবিক চুল দিয়ে ঢাকা থাকে, তবে যৌনকেশের পরিমানে তারতম্য থাকতে পারে। বৃহদোষ্ঠের বাইরের ত্বকের রঙ শরীরের বাকি অংশের মত বা তার থেকে একটু বেশি ঘন হতে পারে। বৃহদোষ্ঠে প্রচূর স্বেদ ও তৈল গ্রন্থি থাকে যাদের থেকে ঘাম ও তেল ক্ষরিত হয়। অনেক গবেষকের প্রস্তাব যে এই তেল ও ঘামের গন্ধ যৌনউদ্দিপনামূলক। বৃহদোষ্ঠ স্পর্শ ও চাপের প্রতি বেশ সংবেদনশীল, যা যৌন সঙ্গমের সময় আনন্দের একটি উৎস।
ক্ষুদ্রোষ্ঠ (Labia Minora): বৃহদোষ্ঠের মধ্যবর্তি খাঁজে পাতলা টিস্যু সমণ্বিত দুটি ক্ষুদ্রোষ্ঠ বা labia minora থাকে। এই ক্ষুদ্রোষ্ঠ সাধারণত ভাজ হয়ে তার মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থিত মূত্রছিদ্র, যোনিরন্ধ্র এবং ভগাঙ্কুরকে আগলে রাখে। ব্যাক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে ক্ষুদ্রোষ্ঠের আকারের তারতম্য হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা ছোট এবং বৃহদোষ্ঠের দ্বারা পুরো আবৃত থাকে, আবার অনেকের ক্ষেত্রের এর আকার অনেকটাই বড় যা বাইরে থেকেও দেখা যায়। এতে কোন কেশ থাকেনা কিন্তু সিবেসিয়াস গ্রন্থি থাকে যারা তেল জাতিয় পদার্থ ক্ষরণ করে। ক্ষুদ্রোষ্ঠ দুটি উপরের দিকে উঠে পরষ্পরের সাথে মিলিত হয়ে ভগাঙ্কুরকে ঢেকে রাখে। বৃহদোষ্ঠের মত ক্ষুদ্রোষ্ঠও স্পর্শ ও চাপের প্রতি বেশ সংবেদনশীল।
ভগাঙ্কুর (Clitoris): ভুলভা বা যোনিদ্বারেরে উপরের দিকে যেখানে ক্ষুদ্রোষ্ঠদ্বয় পরষ্পরের সাথে মিলিত হয় সেখানে ক্ষুদ্রোষ্ঠ দিয়ে ঢাকা অবস্থায় স্পঞ্জের মত টিস্যু দিয়ে তৈরি এটা একটা ছোট্টো, সাদাটে ও ডিম্বাকৃতি অঙ্গ যার একমাত্র কাজ যৌন আনন্দ প্রদান। বাইরে থেকে সাধারনত শুধু এর অগ্রভাগটাই দেখা যায়, কিন্তু আদপে এটা অনেকটা লম্বা। এটা ভেতরের দিকে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যোনিরন্ধ্রের দুপাশ দিয়ে নেমে ভালভার পশ্চাৎভাগে অবস্থিত পেরিনিয়ামের দিকে চলে গেছে। ভগাঙ্কুর অনেকটা পুরুষাঙ্গ বা পেনিসের মত এবং এর অগ্রভাগ একটি পাতলা চামড়া দিয়ে থাকে যাকে বলা হয় ভগাঙ্কুরের আবরক (clitoral hood)। যৌন উত্তেজনার সময় অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালনের ফলে ভগাঙ্কুর আকারে বৃদ্ধি পায় এবং এর উপরের আবরক ত্বক পেছনে চলে যায় যাতে এটা বাইরে থেকে সহজেই স্পর্শ করা যায়; এতে যৌন আনন্দ বেশি হয়। ভগাঙ্কুরের আকারও ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা ছোট্ট, আবার অনেকের ক্ষেত্রে বেশ বড়, যা ওর উপরের আবরক ত্বক দ্বারা পুরো ঢাকা যায়না।
সতীচ্ছদ (Hymen):

ov-11

এটা মিউকাস মেমব্রেন দিয়ে গঠিত একটা পাতলা পর্দা যা যোনিরন্ধ্রকে ঘিরে থাকে অথবা আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। সাধারণত সতীচ্ছদ অর্ধচন্দ্রাকৃতির, তবে তার ব্যতিক্রমও যথেষ্ট হয়। সতীচ্ছদের মধ্যবর্তী ছিদ্রের আকার সবার ক্ষেত্রে সমান হয়না, কারও ক্ষেত্রে বড় আবার কারও কারও ক্ষুদ্র হতে পারে। এই ছিদ্রের মাধ্যমেই ঋতুস্রাবের রক্ত ও অন্যান্য পদার্থ বেরিয়ে আসে। সতীচ্ছদ বা hymen কে নিয়ে বহু কূসংস্কার ছড়িয়ে রয়েছে। সতীচ্ছদের অনুপস্থিতিকে কূমারীত্ব হারানোর লক্ষন হিসেবে গন্য করা হয়। সাধারণ ধারনা এই যে প্রথমবার যৌনসঙ্গমের সময় সতীচ্ছদ ফেটে রক্ত বের হবে; আর যদি তা না হয় তার মানে কন্যা কূমারী নয় ( কিছু কিছু পুরাতন মহিলারা মনে করতেন ) কিন্তু এই ধারনা ঠিক নয়। প্রথমত যৌন সঙ্গমের ফলে সতীচ্ছদ নাও ছিড়তে পারে। যদি যৌনসঙ্গমের সময় সঠিকমাত্রায় লুব্রিকেশন (lubrication) হয় তবে সতীচ্ছদ ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। দ্বিতীয়ত অনেকের সতীচ্ছদের মধ্যবর্তী ছিদ্র এমনিতেই বড় এবং সতীচ্ছদ এত স্থিতিস্থাপক হয় যে যৌনসঙ্গমের ফলে তার ফেটে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকেনা। তৃতীয়ত সাইকেল চালানো, নৃত্য অনুশীলন, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, হস্তমৈথুন, ট্যাম্পুন ব্যবহার ইত্যাদির ফলেও সতীচ্ছদ ফেটে যেতে পারে। সুতরাং সতীচ্ছদের উপস্থিত বা অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে কখওনই কারুর কূমারীত্ব নির্ণয় করা সম্ভব নয় অথবা এই ধরণের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল ও কুসঙ্কস্কার ।
যোনিরন্ধ্র (Vaginal opening): এটি যোনির প্রবেশমুখ, যা সতীচ্ছদ দিয়ে ঘেরা বা আংশিক ঢাকা থাকে। এর মাধ্যমেই ঋতুস্রাবের সময় রক্ত এবং যৌনমিলনের সময় পুরুষাঙ্গ যোনির ভেতরে প্রবেশ করে। এছাড়াও স্বাভাবিক প্রসবের সময় এই রন্ধ্রের মাধ্যমেই শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
স্তন গ্রন্থি (Mammary gland) –

ov-12

স্তনে অবস্থিত এই গ্রন্থি থেকে শিশুর পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় দুগ্ধ ক্ষরিত হয়। এটা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি যা মূলত একধরনের পরিবর্তিত স্বেদ বা ঘর্ম গ্রন্থি। এই গ্রন্থির প্রধান অংশ হল অ্যালভিওলাই নামের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গহ্বর যাদের ভেতরের দেওয়ালে দুগ্ধ ক্ষরণকারী এপিথেলিয়াল কোষ থাকে। কিছু সংখ্যক করে অ্যালভিওলাই একত্রিত হয়ে এক একটি গুচ্ছের আকার ধারণ করে, যাদের বলা হয় লোবিউল। প্রতিটি লোবিউল আবার দুগ্ধউৎপাদক নালী বা laciferous duct এর মাধ্যমে স্তনবৃন্তের সাথে যুক্ত। অ্যালভিওলাইগুলিকে ঘিরে থাকে মায়োএপিথেলিয়াল কোষের আবরণ, যা পেশীর মত সংকুচিত বা প্রসারিত হতে সক্ষম। এই কোষগুলির সংকোচনের ফলেই অ্যালভিওলাই থেকে দুগ্ধ বেরিয়ে ল্যাসিফেরাস নালীর মাধ্যমে স্তনবৃন্ত পর্যন্ত পৌঁছায়। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই স্তন গ্রন্থি বর্তমান, কিন্তু কেবল মহিলাদের ক্ষেত্রেই ডিম্বাশয় থেকে নিসৃত ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধির পর থেকে এই গ্রন্থি বৃদ্ধি পায় এবং পরিণত হতে পারে। জন্মের সময় শিশুর কেবল ল্যাসিফেরাস নালীই বর্তমান থাকে। বয়ঃসন্ধির সময় ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে এই নালী থেকে অ্যালভিওলাইয়ের আদিকোষ তৈরি হতে শুরু করে। কেবল গর্ভাবস্থাতেই ক্রমবর্ধমান ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে প্রকৃত

দুগ্ধক্ষরণকারী অ্যালভিওলাই গঠিত হয়। এর সাথে সাথে স্তনে চর্বিবিশিষ্ঠ অ্যাডিপোজ টিস্যু ও রক্ত সঞ্চালন, উভয়ই বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এবং প্রসবের প্রথম কয়েকদিন স্তন গ্রন্থি থেকে কলোস্ট্রাম নামের এক হলদে রঙের তরল ক্ষরিত হয় যা অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। প্রকৃত দুগ্ধ ক্ষরণ শুরু হয় প্রসবের দিন কয়েক ঘন্টা পর থেকে যখন রক্তের প্রোজেস্টরন হরমোনের পরিমান কমে যায় এবং প্রোল্যাকটিন নামক হরমোনের আবির্ভাব হয়। স্থন গ্রন্থির বিভিন্ন কোষ খুব সহজেই উপযুক্ত হরমোনের প্রভাবে বৃদ্ধি পায় এবং বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে পারে। যদি এই কোষের এই বৃদ্ধি ও বিভাজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে তাকে ক্যান্সার বলা হয়। প্রায় সমস্ত রকমের স্তন ক্যান্সারের সূত্রপাত স্তন গ্রন্থির লোবিউল বা নালীগুলিতেই হয়।

এখন জেনে নিন যৌবনের সুচনা কিভাবে হয় বিজ্ঞান অনুসারে ঃ- ( বয়ঃসন্ধি ) Puberty