প্রমেহ বা গনোরিয়া রোগ নিয়ে কিছু ভুল ধারনা ও তথ্য ঃ
প্রতিবছর প্রায় ৪৪৮ মিলিওন লোক যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়, এর মধ্যে প্রায় ৭৮ থেকে ৮৮ মিলিওন গনোরিয়ার রোগী । যার মধ্যে অল্পবয়স্কা তরুণ- তরুণীদের এই রোগে আক্রান্ত হবার হার সবচেয়ে বেশি । মেডিক্যাল রিসার্চ অনুসারে দুর্ভাগ্য বশত যদি নিশেরিয়া গনোরি জীবাণু এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ক্ষ্যামতা ধংস করে ফেলে তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বার্ষিক এক কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে ! যাকে সুপার গনোরিয়া ( super Neisseria ) বলা হচ্ছে । ইতিমধ্যে ইউকে, অ্যামেরিকা ও জাপানে এই ব্যাক্টোরিয়ার আক্রমণে বেশ কয়েকজন রোগী মৃত্যুবরণ ও করেছেন এবং সেই স্থরের কার্যকর এন্টিবায়োটিক এখন ও আবিষ্কৃত হয়নি !
এ ছাড়া রক্ত পরিক্ষা করে নিশেরিয়া গনোরি পজেটিভ হলে উচ্চ ক্ষ্যামতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ছাড়া অন্যান্য শাস্রিয় বা পদ্ধতিগত চিকিৎসা কাজ করেনা ( বিশ্ব স্বাস্থ্য ) এবং সে সময় যে কোন চিকিৎসক রোগীকে জীবাণু ধ্বংসকারী এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ না করে অন্যান্য সনাতন পদ্ধতির যে কোন অপ্রমাণিত ঔষধ প্রয়োগ করা ও বেআইনি ( সি ডি সি ) বা অমানবিক । তার পর ও কীভাবে এন্টিবায়োটিক ছাড়া অন্যান্য সাস্রিয় চিকিৎসকরা গনোরিয়া ভাল করার কথা বলে থাকেন আমার বুজতে বেশ কষ্ট হয় । আর তাই যদি সত্যি হয় তাহলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করার কি ই বা প্রয়োজন ছিল গরীব রাষ্ট্র সমূহের ?
মেডিক্যাল জার্নালের তথ্য মতে যতটুকুই দেখেছি, মুলত গনোরিয়া বা প্রমেহ রোগের অসুখের মত লক্ষন থাকলে ও আসলে তা নিশেরিয়া গনোরি ব্যাক্টোরিয়ার দ্বারা সংক্রামিত অসুখ নয় ( অর্থাৎ গনোরিয়া নয় ) অন্য অসুখ এবং তা শরীরের এন্টিবডির ক্ষ্যামতা বৃদ্ধি করে অসুখটি থেকে অনেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন এবং তখন রোগিরা বুজে থাকেন তার গনোরিয়া রোগ হয়েছিল । তাই আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগে সবাই এসব ধ্যান ধারনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ । ( সেক্রেট অব মেডিক্যাল জার্নাল – )
প্রকৃত পক্ষে এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ, যা নিশেরিয়া গনোরি জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে যোনি বা পায়ুপথে মিলন , ওরাল বা মুখমেহন যৌন মিলনের মাধ্যমে এক দেহ থেকে অন্য সুস্থ দেহে সংক্রামিত হয়ে থাকে । এ ছাড়া যারা সেক্স টয় একে অন্যকে শেয়ার করেন অথবা অনেক সময় আক্রান্ত ব্যাক্তির গোফন অঙ্গ স্পর্শ করার কারনে আঙ্গুলের নুখ থেকে চুখের পাতায় ও সংক্রামিত হতে পারে ( touching the private parts and then the eyes) । মনে রাখবেন চুম্বন, হাত ধরা, গোসল করা, টাওাল, কাপ, টয়লেট সিট ইত্যাদি থেকে নিশেরিয়া গনোরি জীবাণুর বিস্তার লাভ করে না অথবা ইহা বংশ পরম্পরায় সংক্রমিত হয় না। –
রিসার্চ ঃ গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সাথে একবার যৌনকর্ম করলে পুরুষলোকের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২০% বেশী হলেও আক্রান্ত পুরুষের সাথে একবার যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি প্রায় ৬০-৮০% । বিপরীত দিকে সমকামী পুরুষের বেলায় তা ৯১% বেশী । এ ছাড়া গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলাদের জীবাণুটি সুপ্ত অবস্থায় বেশ কিছু দিন লুকিয়ে থাকতে পারে বিধায় পুরুষের চাইতে মহিলাদের একটু দেরিতে লক্ষন দেখা দেয় ।
সর্ব প্রথম ২০১১ সালে ৩১ বছর বয়সী জাপানী একজন পতিতার শরীরের এই ব্যাক্টোরিয়াটি ধরা পরে এবং পরবর্তীতে তাকে উপযোক্ত এন্টিবায়োটিক দিয়ে ও রক্ষা করা সম্বভ হয়নি – অর্থাৎ গনোরিয়া চিকিৎসার সর্বশেষ এন্টিবায়োটিক ড্রাগস ceftriaxone এবং azithromycin যদি কোন কারন বশত কাজ না করে তখন তাকেই সুপার গনোরিয়া ( HO41) বলা হয় এবং যদি কোন কারন বশত উক্ত সুপার নিশেরিয়া গনোরি অন্য সুস্থ দেহে প্রবেশ করে সে ও সমপর্যায়ে আক্রান্ত হতে পারে । অসুখটির নতুন কোন ঔষধ এখন ও বাহির হয়নি । ( journal Antimicrobial Agents and Chemotherapy ) – সে জন্য নতুন এই যৌন রোগটি যদি কোন কারনে সংক্রামণ বৃদ্ধি পায় তাহলে অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানীর আশঙ্কা , এইডসের চাইতে ও ভয়ানক রুপ নিতে পারে । সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেখা যায় যে সব অঞ্চলে পুরুষ সমকামীর সংখ্যা বেশী সেই সব অঞ্ছলেই এই জীবাণুটির সংক্রামণ বেশী । সে জন্য জাপান, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া ও অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমুহ সব সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
( http://www.cdc.gov/std/gonorrhea/arg/b88-feb-2005.pdf )
সুপ্তিকাল : রোগাক্রান্ত সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে দৈহিক মিলনের পর ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ রোগের প্রকাশ ঘটে। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে মূত্রপথের সামনের অংশে জীবাণু সংক্রমণ শুরু করে এবং মহিলাদের যোনি ও যোনি নালিতে প্রথম সংক্রমণ শুরু হয় । ক্ষেত্র বিশেষ অনেকের বেলায় স্বাভাবিক জ্বালা যন্ত্রণা ও সামান্য শ্লেষ্মা যুক্ত পানি ছাড়া কয়েকদিন আর কোন লক্ষন দেখা নাও দিতে পারে ( বিশেষ করে মহিলাদের বেলায় ) কিন্তু যদি জীবাণুটি একটিভ থাকে তাহলে ২৭ দিন পরে ৫৯ দিনের আগে অবশ্যই নিচের লক্ষন সমুহ দেখা দিবে । তখন জীবাণুটি দ্রুত জরায়ুর মুখ, ডিম্বাশয়য়, ডিম্ব নালী , প্রেস্টেট গ্ল্যান্ড, মুত্র থলি ইত্যাদি সহ সারা শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে ।
⦁ যোনিপথে অস্বাভাবিক নিঃসরণ (সচরাচর, সাদা, সবুজ কিংবা হলুদ) সহ হালকা চুলকানি দেখা দিয়ে থাকে । – যৌনাঙ্গ সংক্রমণের কারণে যোনির ওষ্ঠে লাল, দগদগে ঘা হয় যা দেখতে লালা অথবা হলুদ বর্ণের । – প্রস্রাবের তীব্র ইচ্ছা থাকতে পারে। প্রস্রাবে যন্ত্রণা হয়। – যোনি বড় হয়ে ফুলে যাওয়া বা যোনির মুখ খুল লে সাদা স্রাব পতিত হওয়া এবং যৌন মিলনে খুব কষ্ট অথবা অনীহা বৃদ্ধি পাওয়া অশ অনেক ধরণের লক্ষন থাকতে পারে । সেই সাথে সামান্য জ্বর, ম্যাজম্যাজ ভাব প্রায় দেখা দিতে পারে। ( তবে যাদের শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বেশী তাদের বেলায় ( ৩০% ) প্রাথমিক উপসর্গ ছাড়াই জীবাণুর বংশ বৃদ্ধি বাড়তে থাকে )
বিঃদ্রঃ ( উক্ত লক্ষন সমুহ মহিলাদের গনোরিয়া জাতীয় অসুখ ছাড়া ও অন্য যে কোন জীবাণু অথবা মুত্র থলির প্রদাহ, ভ্যাজিনাল ইনফেকশন ইত্যাদি কারনে ও দেখা দিতে পারে– তবে, যদি বিগত ৩ সপ্তাহের ভিতরে স্বামী শ্রী যে কারও অবৈধ যৌন মিলনের ইতিহাস থাকে তাহলে যৌন জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনাই বেশী বিধায় সাথে সাথে রক্ত ও প্রস্রাব পরিক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ – বিস্তারিত মহিলাদের সুখ দুঃখ পর্বে দেখুন )
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, ব্যথা ছাড়াও মূত্রাশয়ের প্রদাহ হতে পারে । ডিম্ববাহী নালীতে প্রদাহ , বার্থোলিন গ্রন্থির প্রদাহ সহ তলপেটে চিন চিন ব্যথা । – ডিম্ববাহী নালী, ডিম্বাশ্বয় কিংবা তলপেটের মধ্যে ফোঁড়া হতে পারে। মাসিক অনিয়মিত হয় এবং তীব্র ব্যথা হয় অথবা গুরতর ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে । পায়ুপথের মিলন থেকে কিংবা নিজের সংক্রমিত যোনি থেকে মলদ্বারে সংক্রমণ হতে পারে এবং পরবর্তীতে মলনালী পথে নিঃসরণ এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে। ওড়াল যৌনতার কারণে মুখ থেকে গলার ভিতর সংক্রমণ ও পরে গাঁ হতে পারে অথবা অসাবধানতা বশত আঙ্গুলের নুখ থেকে জীবাণু চুখের ভিতর সংক্রামিত হয়ে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে ( যদি ও তা খুব কম ক্ষেত্রে দেখা যায় ) ।
⦁ সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যাক্তর সাথে যৌন মিলনের ২ থেকে ১০ দিন পর রোগের উপসর্গ দেখা দেয় এবং সবচেয়ে বেশী প্রথম অবস্তায় লিঙ্গের সম্মুখভাগেই সংক্রমণ ঘটে। বারবার প্রস্রাবের ইচ্ছা করে। মূত্রনালীতে প্রদাহের কারণে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা করে। লিঙ্গপথে রস নিঃসৃত হয় যা যৌনাঙ্গের সংক্রমণের ফলে এ রস তৈরি হয়। প্রথমে পানির মতো থাকে। পরে ঘন, সবুজাভ-হলুদ হয় বা পুরুষাঙ্গের মাথায় পুঁজ জাতীয় পদার্থ লেগে থাকতে দেখা যায়। ৭০% বেলায় প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগে পুরুষাঙ্গের গায়ে কোনো ঘা বা ক্ষত দেখা না দিলেও হাত দিয়ে ধরলে হালকা ব্যথা অনুভূত হয় এবং কিছুদিন পর রোগের উপসর্গ কমে যায়। এর মানে রোগটি ভালো হওয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি রূপ লাভ করতে পারে বলে ধরে নিতে হবে।
বিঃদ্রঃ ( উক্ত লক্ষন সমুহ পুরুষদের বেলায় গনোরিয়া জাতীয় অসুখ ছাড়া ও অন্য যে কোন জীবাণু অথবা মুত্র নালী ও থলির প্রদাহ সহ অন্যান্য যে কোন কারনে ও দেখা দিতে পারে– তবে যদি এ সময় অবৈধ যৌন মিলন করার ইতিহাস থাকে তাহলে যৌন রোগের সন্দেহ করা উচিৎ বা সে জন্য প্রথমেই প্রস্রাব পরিক্ষা করে তার দ্বারা আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হওয়া ভাল বিস্তারিত পুরুষের সুখ দুঃখ পর্বে দেখুন )
মূত্রনালীপথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে প্রস্রাব ঠিকমতো বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে কিডনিতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এবং সেই সাথে লিঙ্গের মাতা দিয়ে পুঁজের মত স্রাব বৃদ্ধি পাবে বা হালকা রক্ত আস তে পারে । অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া, বেদনাদায়ক বা ঘন মূত্রত্যাগের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, শুক্রনালি, এপিডাইমিস আক্রমণ করা সহ লিঙ্গের স্থানীয় স্নায়ু সমূহকে আক্রান্ত করে ধ্বজ ভঙ্গের মত মারাত্মক অসুখের জন্ম দিতে পারে ( মনে রাখবেন যদি কোন কারনে লিঙ্গের স্নায়ু তন্ত্র সমূহে ক্ষতের সৃষ্টি করে করে তাহলে পরবর্তীতে যৌন উক্তেজনা ফিরে পাওয়া খুব কষ্ট সাধ্য ব্যাপার ) অথবা শুক্রাণু উৎপাদন কমে গিয়ে ফলে পুরুষ বন্ধাত্তের সৃষ্টি করতে পারে ।
সাধারণত পুরাতন গনোরিয়া রোগীদের ৫৬% বেলায় ৩ মাসের ভিতরই গর্ভপাত হয়ে থাকে । তারপর ও যদি গর্ভপাত না হয় তাহলে পরবর্তীতে সময়ের আগে বাচ্চা প্রসব হওয়ার সম্বাভনাই বেশী , বিশেষ করে জরায়ুর প্লাসেন্টা সময়ের আগে চিড়ে গিয়ে প্লায়সেন্টার ভিতরের ফ্লুইড শুকিয়ে যেতে পারে এবং তখন জরায়ুর ভিতরেই শিশুর মৃত্যু হয় , আর যদি তা নয় তাহলে খুব জরুরী অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশন ছাড়া মা এবং শিশুকে রক্ষা করা সম্বভ হয়না । ১% বেলায় নিশেরিয়া গনোরি ডিম্ববাহী নালীতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে এবং এ কারণে মহিলার সারা জীবনের জন্য বন্ধ্যাত্ব ঘটতে পারে কিংবা গর্ভ সঞ্চারিত হলে তা জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ হওয়ার সম্বাভনা বেশী ।
সাধারণত সম্মানিত চিকিৎসকরা রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস শোনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন । তারপর ও উপরের লক্ষন সমুহ দেখা দিলে নিজে নিজেই যে কোন ভাল প্যাথলজিস্ট দ্বারা মুত্র এবং লিঙ্গ বা যোনির নিঃসৃত পদার্থ পরিক্ষা করে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেন ।
বিশেষ করে যদি আক্রান্ত ব্যাক্তি বা তার সহধর্মিণীর অবৈধ যৌন মিলন করার ইতিহাস থাকে অথবা সন্দেহ হয় তাহলে অবশ্যই আগেভাগেই পরিক্ষা করা ভাল । যদিও সেইফ ম্যাথডে ( কনডম ) যৌন মিলন করলে এবং ওড়াল বা হিটার সেক্সুয়েল যে কোন ধরণের যৌন পদ্ধতি অনুসরণ না করলে গনোরিয়া জীবাণু সংক্রামিত হওয়ার কথা নয় । অথবা এর আগে অথিতে অন্যান্য কোন যৌন সংক্রামক জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার ইতিহাস না থাকলে গনোরিয়া জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কোন কারন নেই বা গনোরিয়ার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার কথা নয় ।
নিউক্লিক এসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্ট Nucleic acid amplification tests (NAAT) ঃ সাধারনত ৫ মিলি প্রস্রাব এর নমুনা থেকে নিশেরিয়া গনোরির উপস্থিতি আছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয় এবং এর জন্য ২৪/৭২ ঘন্টা সময়এর প্রয়োজন ।
এ ছাড়া অন্য কোন অসুখের বা জীবাণুর সন্দেহ থাকলে ( স্যালামাইডিয়া, সিফিলিস , ক্যান্ডিডাস ইত্যাদি ) আপনার চিকিৎসক আরও অনেক ধরণের পরিক্ষা নিরীক্ষার কথা বলতে পারেন । তবে সাধারণ গনোরিয়া হয়েছে কিনা তা উপরের পরিক্ষা থেকেই শত ভাগ নিশ্চিত হতে পারেন । USPSTF
চিকিৎসা ঃ ( WHO STI guidelines suggest )
প্রাথমিক ভাবে ( প্রথম স্থরের ) নিশেরিয়া গনোরির উপস্থিতি থাকলে নিম্নের যে একটি এন্টিবায়োটিক সেবনে সুস্থ হওয়ার কথা
Cipro® XR 500 mg a single dose, or Levaquin® 500 mg a single dose, or Tequin® 400 mg a single dose; Doxycycline 100 mg 2–3 times a day for 10–14 days, or Zithromax® (azithromycin) 1.0 gm a single dose, or Zithromax® Z-pak® (azithromycin) — 500mg on day 1, followed by 1 tab (250mg) once a day for 4 more days
মনে রাখবেন ঃ আগেকার দিনের এন্টিবায়োটিক্স এখন আর তেমন কাজ করেনা ! নিচের ঔষধ সমুহ রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া সেবন করা আইনগত অবৈধ ? স্বামী শ্রী উভয়েই এক সাথে ঔষধ সেবন করা উচিৎ … জীবাণু সংক্রামিত হউক বা না হউক ! ঔষধ সেবনের ১ সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন মিলন না করা ভাল ! আপনার চিকিৎসকের দেওয়া পূর্ণ এন্টিবায়োটিক্স অবশ্যই সেবন করে যেতে হবে এবং এলারজি জাতীয় সমস্যা থাকলে তাও আপনার চিকিৎসক কে অবহিত করবেন এবং দ্বিতীয়বার আর যাতে সংক্রামিত না হন সে দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ ।
যদি উপরের ঔষধ কাজ নাকরে ( দ্বিতীয় স্থর ) তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কবাইন্ডস ড্রাগস ব্যাবহারের পরামর্ষ দিয়ে থাকেন এবং তা থেকে ৯৬% রোগী সুস্থ হয়ে থাকেন । বিশেষ করে যারা দীর্ঘ মেয়াদী গনোরিয়া অসুখে আক্রান্ত —তাদের জন্য …
ইনজেকশন Ceftriaxone 250 mg intramuscular (IM) single dose PLUS + ট্যাবলেট Azithromycin 1 g PO single dose ।
অথবা
If ceftriaxone is unavailable, patients can be given a single oral dose of cefixime 400 mg plus a single dose of azithromycin 1 g PO
অথবা
Single-drug therapy (one of the following, based on recent local resistance data confirming susceptibility to the antimicrobial): Ceftriaxone 250 mg IM as a single dose; cefixime 400 mg orally as a single dose; or spectinomycin 2 g IM as a single dose
এবং
চুখে ইনফেকশনের সন্দেহ থাকলে Erythromycin 0.5% eye ointment বা ক্রিম ব্যাবহার করতে পারেন
বিদ্রঃ কোন অবস্থাতেই অসুখটি তৃতীয়বার যাতে আর সংক্রামিত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন , কেননা অসুখটি তৃতীয় স্থরে চলে গেলে স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব সহ ক্যানসার অথবা শরীরের অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধি সহ যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হওয়া অবাস্থব কিছু নয় ।
Ceftriaxone 500 mg IM as a single dose PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose or Cefixime 800 mg orally as a single dose PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose or Gentamicin 240 mg IM as a single dose PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose or Spectinomycin 2 g IM as a single dose (if not an oropharyngeal infection) PLUS azithromycin 2 g orally as a single dose.
নবজাতকদের জন্য ঃ
Ceftriaxone 50 mg/kg (maximum 150 mg) IM as a single dose or Kanamycin 25 mg /kg (maximum 75 mg) IM as a single dose or Spectinomycin 25 mg/kg (maximum 75 mg) IM as a single dose
ধন্যবাদ ………………………………………………… ।
References ( Created By Dr Helal KAmaly – MPH & Hon Stud of PhD ( PH & MR ) UK
Centers for Disease Control and Prevention. Sexually transmitted disease surveillance 2013. UK . Department of health and Human Services; 2014. Updated March 30, 2015. www.cdc.gov/std/stats13. Accessed July 15, 2015. Final Recommendation Statement: Chlamydia and Gonorrhea: Screening. U.S. Preventive Services Task Force. December 2014. www.uspreventiveservicestaskforce.org/Page/Document/RecommendationStatementFinal/chlamydia-and-gonorrhea-screening. Accessed July 15, 2015. Marrazzo JM, Apicell MA. Neisseria gonorrhoeae (Gonorrhea). In: Bennett JE, Dolin R, Blaser MJ, eds. Mandell, Douglas, and Bennett's Principles and Practice of Infectious Diseases. 8th ed. Philadelphia, PA: Elsevier Saunders; 2015:chap 214. Workowski KA, Bolan GA; Centers for Disease Control and Prevention (CDC). Sexually transmitted diseases treatment guidelines, 2015. MMWR Recomm Rep. 2015;64(3):1-137.